ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে সাবেক র্যাব কর্মকর্তা সোহায়েল কারাগারে

অপহরণ ও গুমের মামলায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সোহায়েলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১৮ জুন) প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
অপহরণ ও গুমের মামলায় সোহায়েলকে আজ (বুধবার) ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে গত ১৫ এপ্রিল আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে হাজির করা হয়। পরে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। এরপরই গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১০ সাল থেকে দুই বছর র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক থাকার সময় ব্যাপক পরিচিতি পান সোহায়েল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাকরিতে তার দ্রুত উন্নতি ঘটে।
দুর্নীতি, জোরপূর্বক আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর গত ১৯ অগাস্ট সোহায়েলকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী। পরদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সোহায়েল কমোডর থেকে রিয়ার অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান। অভিযোগ ওঠে, কোনো জাহাজ বা ঘাঁটি কমান্ড কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কোর্স না করেই শেখ হাসিনা সরকারের আনুকূল্যে রিয়ার অ্যাডমিরাল হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
মোহাম্মদ সোহায়েল এক বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত বছরের ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর গত ৭ আগস্ট বন্দর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে তাকে নৌবাহিনীর ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিনের কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: