রংপুরে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ 

রংপুরের দক্ষিণ মুলাটোল এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আনজুমান বানু হত্যা মামলায় আসামি আরমান আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রংপুর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান খান আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল হাদি বেলাল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আনজুমান বানুর নির্মম হত্যাকাণ্ড সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষে আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা ন্যায়বিচারের একটি মাইলফলক। এতে আইনের শাসনের প্রতি আস্থার জায়গা আরো মজবুত করবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আমার মক্কেল আরমান আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও সেটি ছিল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেওয়া। আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করওোব।

মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৯ মে রংপুর মহানগরীর দক্ষিণ মুলাটোল এলাকায় নিজ বাসায় আনজুমান বানুকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আনজুমান ভূমি অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন। ঘটনার সময় বাসায় একাই ছিলেন তিনি। পরদিন নিহতের জামাতা এনায়েত হোসেন মহন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। 

তদন্তে বেরিয়ে আসে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আরমান আলী এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পাঁচ বছর ধরে চলা এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১২ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।