• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী যে ৫ অপরাধের রায় সোমবার

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী যে ৫ অপরাধের রায় সোমবার

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে গণহত্যার মতো অপরাধের সাক্ষ্য–প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে হাজির করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। শেখ হাসিনার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। অভিযুক্ত সাবেক আইজিপি রাজসাক্ষী হিসেবে অপরাধ স্বীকার করে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

পরপর ৩ মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী ৫ অভিযোগের বিচার করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১। আসামিদের একজন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও পলাতক।

প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা ও নাতিপুতি’ হিসেবে আখ্যা দেন। এরপর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা ও নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্র–জনতার ওপর আক্রমণ চালায়।

দ্বিতীয় অভিযোগ, হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যা ও নির্মূলের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। এভাবে হত্যা করা হয় হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারীকে। পলাতক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও গ্রেপ্তার সাবেক আইজিপি অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ, সহায়তা ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।

তৃতীয় অভিযোগ, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় পলাতক প্রধানমন্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্ররোচনা, উসকানি ও সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে।

চতুর্থ অভিযোগ, গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকার চাঁনখারপুলে ছয়জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করে হত্যা করার নির্দেশদাতা ছিলেন আসামিরা।

পঞ্চম অভিযোগে আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যা করা পাঁচ আন্দোলনকারীর মরদেহ এবং জীবিত একজনকে পুলিশ ভ্যানে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার নির্দেশ ও প্ররোচনার কথা বলা হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় আন্দোলনকারী, আহত, প্রত্যক্ষদর্শী, চিকিৎসকসহ মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে শেখ হাসিনার কথোপকথনের অডিও–ভিডিও, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, জব্দ করা গুলিসহ নানা আলামত।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১২ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2