স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা: আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল

মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৯ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী ও দুই মেয়ের গলা কাটা মামলার অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানা পুলিশ।
এর আগে রবিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুন নূর আসামি আসাদুজ্জামন রুবেলের স্বীকারোক্তি জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ (সোমবার) বিকালের দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাদে জানা যায়, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘিওর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র (ধারালো দা) ও রক্তমাখা জামা কাপড় জব্দ করার পাশাপাশি তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে হত্যার সাথে জড়িত আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেলকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। এর পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ঘিওর থানার লাভলীর পিতা সাইজুদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামি আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেলের (৪০) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক রেকর্ড করানো হয় এবং ঘটনায় ১২ জন সাক্ষীদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করাসহ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে মামলার ঘটনায় মৃত লাভলী আক্তার (৩৯), মৃত লাজলী আক্তার ছোয়া (১৬) এবং মৃত ইহা মনি কথা’র (১২) ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়। তদন্তে জানা যায়, আসামি আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪০) নানান ধরণের ঋণে জর্জরিত ছিলেন। স্ত্রী কন্যাদের নিয়ে সংসার চালানো ও ঋণ পরিশোধের চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটায়। মামলা রুজুর পর ঘিওর থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক বেলাল হোসেন মামলাটি তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার বিকালে বিজ্ঞ আদালতে ন্যায় বিচারের স্বার্থে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪২) গত রবিবার ভোর রাতে ঘুমিয়ে থাকা নিজ স্ত্রী ও দুই কন্যাকে প্রথমে দা দিয়ে আঘাত করে। এর পর বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ধারালো অস্ত্র (দা) দিয়ে স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে মৃত লাজলী আক্তার ছোয়া (১৬) ও ছোট মেয়ে মৃত ইহা মনি কথাকে (১২) জবাই করে হত্যা করে।
বিভি/এএইচ/এএন
মন্তব্য করুন: