• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কুড়িগ্রাম কারাগারে দুই ভারতীয় নাগরিক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ৩১ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কুড়িগ্রাম কারাগারে দুই ভারতীয় নাগরিক

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় ৭ নাগরিকের মধ্যে ৫ জনকে স্বদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে হস্তান্তর ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় ২ জনের ভাগ্যে মেলেনি কারামুক্তি। ফলে সাজার মেয়াদ ভোগ করার পরও তাদেরকে বিনা বিচারে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের জেল সুপার মো. ইসমাঈল হোসেন জানান, মাদক বহন ও পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে সাজাপ্রাপ্ত ৭ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে মধ্যে আজ (মঙ্গলবার) ৫ নাগরিককে স্বদেশে ফেরৎ পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে উভয় দেশের আইন-শৃংখলা বাহিনী মাধ্যমে তাদেরকে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মে) সকাল ৭টায় ৫ভারতীয় নাগরিককে জেল গেটের বাইরে নেয়া হয়। এসময় পুলিশের একটি টিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেল সুপার মো. ইসমাঈল হোসেন, বর্ডার ভিক্টিম রেসকিউ লিগ্যাল এসিসটেন্স ফোরামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টরের আহবায়ক ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন, বেসরকারি কারা পরির্দশক অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ। পরে জেল সুপার মো. ইসমাঈল হোসেনের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৭টায় কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার থেকে পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে ভারতীয় ৫ নাগরিককে বুড়িমারী চেকপোস্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়া হয়।

ভারতে প্রত্যাবর্তনকারী ৫ নাগরিকরা হলেন, কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া, আসামের ধুবরী জেলার হাট সিংগীমারী থানার সুরুৎ মিয়ার ছেলে মো. নুরুজ্জামান, দক্ষিণ মাইনকারচর জেলার হাট সিংগীমারী থানার নুর ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া, হাট সিংগীমারী থানার আমিরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও হাট সিংগীমারী থানার ছানোয়র হোসেনের ছেলে মাহা আলম শেখ।

এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে হস্তান্তর ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় ধুবরী জেলার দ্বীপ শালমারা এলাকার আকবর আলীর ছেলে তৈয়ব আলী ও একই এলাকার সমসের আলীর ছেলে গোলজার আলীর সাজার মেয়াদ ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও ভারতের পক্ষ থেকে হস্তান্তর জটিলতার কারণে তাদেরকে কুড়িগ্রাম জেলে বিনা বিচারে কারাভোগ করতে হচ্ছে।
বর্ডার ভিক্টিম রেসকিউ লিগ্যাল এসিসটেন্স ফোরামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টরের আহবায়ক ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন জানান, উভয় দেশেই নাগরিক রয়েছে বিভিন্ন জেলখানায়। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তারা দেশে ফিরতে পারছে না। আজকে যারা দেশে ফিরছে তারা সাজার বাইরেও ৬মাস থেকে এক বছর বিনাবিচারে জেল খেটেছে। এটা মানবাধিকারের চুড়ান্ত লংঘন। সাজা শেষের সাথে সাথে নাগরিকরা যেন নিজের দেশে ফিরতে পারে তার ব্যবস্থা বা উদ্যোগ দুই রাস্ট্র থেকে নেয়া জরুরি হয়ে পরেছে।


 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2