• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মাইলস্টোন কলেজ বাসে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪

ফন্ট সাইজ
মাইলস্টোন কলেজ বাসে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি এলাকার স্কুল বাসে চালকের হাতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গাড়ি চালকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে তুরাগ থানা পুলিশ।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ই অক্টোবর আনুমানিক দুপুর পোন ১২টার দিকে উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৮ নং সেক্টর মাধবীলতা বিল্ডিং এর পূর্ব পাশে রাস্তার উপরে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের বাসের মধ্যে উঠিয়ে ছদ্মনাম নাবিলা হক (১২) ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন গাড়ি চালক হারুনুর রশিদ (৫০)। 

ঘটনার পর এ বিষয়ে জানাজানি না হলেও ঘটনার অনেক দিন পর মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলে সে অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনাটি শোনার পর ২০ জানুয়ারী নাবিলার বাবা বাদী হয়ে তুরাগ থানায় দুই জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পর দ্রুত অভিযান চালিয়ে গাজীপুর এরশাদ নগদ এলাকা থেকে দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেন তুরাগ থানা উপ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইব্রাহিম মোল্লা। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হারুন অর রশিদ (৫০) ও  মো. তুষার (৪৬)।

জানা গেছে, নাবিলা হক উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল, সেই অবস্থায় মাইলস্টোন স্কুলের বাস ড্রাইভার হারুন অর রশিদ (৫০) এর সাথে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে সে নিয়মিত ঐ স্কুল বাসে করে আসা যাওয়া করতো। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে নাম্বার আদান প্রদান হয়  ও এক পর্যায়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানতে পারলে পরবর্তীতে মাইলস্টোন স্কুল থেকে সরিয়ে তাকে উত্তরা সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। 

এরপর অভিযুক্ত আসামী হারুন অর রশিদ(৫০) একদিন ওই ছাত্রীতে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এর সামনে থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে স্কুল বাসে তুলে নেয় এবং বাসের মধ্যে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে ভুক্তভুগী ওই ছাত্রী কাউকে কিছু না জানালেও বর্তমানে তার বাবা-মা টের পায় তাদের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। এর পরই ওই ছাত্রীর বাবা তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। 

এ বিষয়ে মাইলস্টোন কলেজের প্রশাসনিক পরিচালক মাসুদ আলম জানান, এটা আমাদের কলেজের বিষয় না। 

এই বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা আনোয়ার বাংলাভিশনকে বলেন, গত সোমবার তাদেরকে গ্রেফতারের পর গতকাল আদালতে পাঠালে তাদেরকে কারাগারে পাঠায় আদালত। আসামিরা ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি।

বিভি/এসএইচ/এজেড

মন্তব্য করুন: