• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাঁচ বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
পাঁচ বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য আটক

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পাঁচ বছরের এক কন্যা শিশুকে খাবার খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কিশোর গ্যাং এর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত তিন কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কুশলিয়া ইউনয়নের পিরোজপুর বস্তি এলাকায় এধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুটির পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

এদিকে, দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন কুমার সরকার ও কালিগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃত কিশোরেরা হল, উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর বস্তির ভ্যান চালক আবু সাঈদের ছেলে শফিকুল ইসলাম (১৫), একই এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে নাঈম (১৪) ও তার ভাই সিয়াম (১২)।

ভুক্তভোগী শিশুটির পিতা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মেয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে খেলতে যায়। এ সময় প্রতিবেশী তিন কিশোর খাবার খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একটি নির্জন ঘরে নিয়ে মুখ, হাত ও পা চেপে ধরে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করার জন্য ঘরে ঢুকতেই পেছনের দরজা দিয়ে ওই তিন কিশোর পালিয়ে যায়। এসময় তারা রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, এঘটনার পর উত্তেজিত জনতা পার্শ্ববর্তী জনৈক মতিয়ার রহমানের ইটভাটায় লুকিয়ে থাকা উক্ত ৩ কিশোরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আবদুল ওয়াজেদ জানান, শিশুটি বেশ অসুস্থ, তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা অভিযোগ করে আরো বলেন, আমাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। যারা অবুঝ ছোট্ট শিশুকে নিষ্ঠুরভাবে ক্ষতি করেছে, তাদের হয়ে উপজেলার প্রভাবশালীরা ভয় ভীতি দেখাচ্ছে, কথা বলতে নিষেধ করছে এবং বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থ পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে আসামীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। যাতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয় সে জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: