• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঢাবি অধ্যাপককে হত্যায় দায়ী তাঁর বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকেরা

প্রকাশিত: ১৯:১৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৯:২৯, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঢাবি অধ্যাপককে হত্যায় দায়ী তাঁর বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকেরা

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাঈদা খালেক-এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে এই অধ্যাপকের বাসার কিছুটা দূরে একটি জঙ্গল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন অধ্যাপক সাঈদা গাফ্ফার।

এই হত্যাকাণ্ডে আনোয়ার হোসেন নামের একজন নির্মাণ শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। আনোয়ার অধ্যাপক সাঈদা খালেক-এর বাড়ি নির্মাণে যুক্ত ছিলেন। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে সকালে সাঈদা খালেক-এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব-এ খোদা জানিয়েছেন।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭১ বছর বয়সী সাঈদা খালেক কাশিমপুর থানার পানিশাইল এলাকার মির্জাবাড়িতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে একাই থাকতেন। কাছেই তিনি একটি বাড়ি নির্মাণ করছিলেন।

তাঁর এক মেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে এসে মায়ের খোঁজ না পাওয়ার কথা জানিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর বাড়ির নির্মাণ শ্রমিক আনোয়ারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে অধ্যাপক সাঈদা খালেক-এর বাসা থেকে একটু দূরে জঙ্গলের ভেতর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি মাহবুব-এ খোদা গণমাধ্যমকে বলেন, আনোয়ার তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে ১১ জানুয়ারি নিহত অধ্যাপকের বাসায় লুটপাট করে তাঁকে গলাটিপে হত্যা করে। পরে মির্জাবাড়ি থেকে কিছুটা দূর একটি জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে মৃতদেহ ফেলে দেয়।

পুলিশ জানায়, ওই ধ্যাপকের বাড়ি থেকে ৭০/৮০ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। আরও কী কী মালামাল নেওয়া হয়েছে, তা বের করার চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাউদ ইফখার জহির বাদী হয়ে গ্রেফতার আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

বিভি/এসডি

মন্তব্য করুন: