• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

এতিমখানার নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১৫:৪৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৫:৪৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
এতিমখানার নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র

সংগৃহীত ছবি

কুড়িগ্রামে এতিম ও দুস্থ শিশুদের নামে প্রতারণা করে যাচ্ছে একটি চক্র। বিভিন্ন এতিমখানা ঘুরে মিলেছে রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের সত্যতা। তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, জেলার আট উপজেলায় নিবন্ধিত বেসরকারি এতিমখানা ২১টি। শিক্ষার্থী দুই হাজার ৭২জন। এরমধ্যে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগী শিক্ষার্থী ৯শ ২৬জন। ২০২১-২২অর্থবছরে জেলায় ৯৮১জন এতিম শিশুর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় দুই কোটি ৪৮লাখ ৬৪ হাজার টাকা। নাগেশ্বরী উপজেলার সমশের আলী শিশু সদনে সরকারিভাবে ৫০জনের বরাদ্দ পেলেও কাগজ কলমে রয়েছে ৩৫ শিশু। 

রৌমারীর টাপুরচর দারুল উলুম এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় একশ' জনের জন্য বরাদ্দ ২২লাখ ৮০ হাজার টাকা হলেও সেখানে শিশু রয়েছে ১৮জন। তাদের কেউই এতিম নয়। বায়তুল ক্বারার গোলাম হাবিব শিশু সদনে ৭০ জনের জন্য বরাদ্দ ১৫লাখ ৬০হাজার টাকা হলেও শিশু রয়েছে ৩৫জন। উলিপুর উপজেলার জুম্মাহাট হাফিজিয়া কারিয়ানা মাদ্রাসা আদর্শ এতিম খানাতেও একই চিত্র। এখানে ৫৪জনের জন্য ১২লাখ ২৪হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও পাওয়া যায় ৩৫জন শিশু। আবার কাগজ কলমে যেসব শিশু দেখানো হয়েছে বাস্তবে তাদের খোঁজ মেলে না।  

সরকারি কোন নিয়ম নীতি মানছেন না শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। এতিমদের খাবারের বরাদ্দকৃত টাকা ভাগবাটোয়ারা করছেন শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা। যেসব শর্তে বরাদ্দ আসে তার ছিটে ফোঁটাও নেই বেশিরভাগ এতিমখানায়। তারপরও বিভিন্ন তদবিরে থেমে থাকেনা বরাদ্দ। 

বছরের পর বছর রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের এই মহোৎসব চললেও নজরদারি নেই প্রশাসনের। এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন কুড়িগ্রাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক
 রোকোনুল ইসলাম।

রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের মহোৎসব বন্ধে কর্তৃপক্ষের নজরদারি চায় কুড়িগ্রামবাসী।

মন্তব্য করুন: