• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ওয়াসার এমডির দুর্নীতি, দুদককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ওয়াসার এমডির দুর্নীতি, দুদককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ এপ্রিল ধার্য করেন। বাদী পক্ষে আইনজীবী গাফ্ফর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, আজকে মামলাটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকে নির্দেশ দেন। যা আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার মামলাটির আবেদন করেন। এরপর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন।

এজাহারে যাদের আরও আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপ প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামাদেরও আসামি করার আবেদন হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থ বছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা।

অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬ টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা টাকাগুলি উত্তোলন করে আসামিরা আত্মসাত করে।

এছাড়া সমিতির গাড়ীসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করে আসামিরা। আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদফতরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি আবেদন করা হয়।

 

বিভি/এসএইচ/রিসি 

মন্তব্য করুন: