• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

সাংবাদিককে ডেকে এনে বেধড়ক পেটালেন ঘোড়াশাল পৌর কাউন্সিলর

মো. মাজহারুল পারভেজ, নরসিংদী

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ১৩ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৮:৩৭, ১৩ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
সাংবাদিককে ডেকে এনে বেধড়ক পেটালেন ঘোড়াশাল পৌর কাউন্সিলর

নরসিংদীর পলাশে এক সাংবাদিককে ডেকে এনে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন ঘোড়াশাল পৌর কাউন্সিলর। অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলরের নাম জাহিদ হাসান।  সোমবার (১৩ ফেব্রয়ারি) দুপুরে পলাশ উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ভিতর স্থানীয় সাংবাদিক ফারদিন হাসান দিপ্তকে (২০)  পিটায় পলাশে নানা কেলেংকারীর নায়ক এই পৌর কাউন্সিলর। 

এ ঘটনায় ফারদিন হাসান দিপ্তর মা আফিয়া বেগম বাদি হয়ে পলাশ থানায় কাউন্সিলর জাহিদ হাসান ও অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত জাহিদ হাসান উপজেলার দড়িহাওলা পাড়া গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে ও ঘোড়াশাল পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। 

ফারদিন হাসান দিপ্তও একই গ্রামের প্রবাসী নূর মোহাম্মদের ছেলে। সে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য।

ফারদির হাসান দিপ্ত জানান, দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পরিষদের পুকুর পাড়ে সামনে রাস্তায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় পাশের একটি নিমার্ণাধীন ভবন থেকে জাহিদ কমিশনার দুইজন লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনতে বলে। 

এসময় দিপ্ত তাদের একটু পরে দেখা করছে বললে কমিশনার ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোড়পূর্বক নিমার্ণাধীন ভবনের ভিতর তুলে আনে। পরে সেখানে কোনো কথা বুঝে উঠার আগেই কাউন্সিলর তাকে চড় থাপ্পর ও কিলঘুষি মারতে থাকে।

এসময় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ভবনের ভিতর নিমার্ণ কাজে ব্যবহত বেলচা দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরতর আহত করে চলে যায়।

এসময় আহত ফারদিন হাসন দিপ্ত অচেতন হয়ে পরে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অভিযুক্ত জাহিদ হাসান বলেন, তাকে ডেকে আনার পর সে আমার সাথে বেয়াদবি করায় তাকে শাসন করা হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানায়, অভিযুক্ত এই কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ঘোড়াশাল সারকারখানা থেকে স্ক্র্যাপ চুরি জমি জবর দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তার ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলে না।

পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাব ও  উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকরা অভিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

পলাশ থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: