২০২৬ সালের রোজা এবং ঈদুল ফিতর কবে, জানালো আমিরাত

মুসলিম বিশ্বের বরকতময়, আত্মশুদ্ধির এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক মহান সুযোগ পবিত্র রমজান মাস। প্রতিবছরই এই মাসের আগমন বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মাঝে আনে অনন্য এক আধ্যাত্মিক আবহ। ২০২৬ সালের রমজানের সম্ভাব্য জবাব তারিখ জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদরা।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী ২০২৬ সালের রমজান মাস শুরু হতে পারে ১৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) থেকে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সূর্যাস্তের সময় নতুন চাঁদ দেখার অনুকূল সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ওই রাতে চাঁদ দেখা যায়, তাহলে পরদিন থেকেই রোজা শুরু হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে,‘শাবান মাসের ২৯ তারিখে সূর্যাস্তের সময় চাঁদের অবস্থান অনুকূল থাকবে। তাই ১৮ ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরুর ঘোষণা আসার সম্ভাবনা জোরালো।’ তবে সংস্থাটি স্পষ্ট করেছে, চাঁদ দেখার বিষয়টি ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই রমজানের শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেশটির ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের চাঁদ দেখার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে।
একইসঙ্গে তারা ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখও জানিয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুসারে,২০২৬ সালের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে ২০ মার্চ (শুক্রবার) এমন্টাই জানানো হয়েছে অ্যারাবিয়ান বিজনেসের প্রতিবেদনে।
প্রতিটি দেশ তাদের নিজস্ব ধর্মীয় নীতিমালা অনুসারে চাঁদ দেখার বিষয়টি বিবেচনা করে। যেমন সৌদি আরব, আমিরাত, কুয়েত ও কাতারের মতো দেশগুলো জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো চাঁদ দেখার জন্য চোখে দেখাকে প্রধান মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করে। ফলে দেশে দেশে রমজান শুরুর তারিখে এক বা দুই দিনের পার্থক্য হয়ে থাকে।
রমজান কেবল উপবাস বা রোজার মাস নয় বরং এটি আত্মশুদ্ধি, সংযম, সহমর্মিতা ও ইবাদতের এক অনন্য সময়। এ মাসেই কোরআন শরিফ নাজিল হয়, আর শেষ দশকে রয়েছে লাইলাতুল কদর যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। রমজান শেষে আসে ঈদুল ফিতর, যা মুসলমানদের জন্য আনন্দ, একতা ও উদারতার এক মহোৎসব।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: