• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

আরাভ খানের মামলার বিচারে অগ্রগতি নেই

ডয়চে ভেলে

প্রকাশিত: ১৫:৩৩, ২১ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৬:৪৯, ২১ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
আরাভ খানের মামলার বিচারে অগ্রগতি নেই

আরাভ খান, তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া ও পুলিশ পরিদর্শক মামুন 

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান খুন হন ২০১৮ সালের ৮ জুলাই। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তাঁর আধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় খুনের মামলা করেন৷ মামলাটি তদন্ত করে পলাতক রবিউল(আরাভ খান)সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ৷

মামলার নথিপত্র বলছে, ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করতে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানের প্রযোজককে বনানীর একটি বাসায় ডেকে নেন আসামিরা ৷ সেটি ছিল রবিউলের কথিত অফিস৷ ওই প্রযোজকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন৷ তিনি প্রযোজকের ডাকে ঘটনাস্থলে যান৷ একপর্যায়ে মামুনকে হত্যা করা হয় ৷ পরে লাশ গোপন করার জন্য বস্তায় ভরে নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরের জঙ্গলে ৷ পরিচয় যাতে শনাক্ত না করা যায়, সে জন্য মরদেহ পোড়ানোও হয়৷

মামুন ইমরান খানকে খুন করার পরই ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রী কেয়াকে নিয়ে সটকে পড়েন রবিউল ইসলাম ওরফে আপন। পরে দেশ থেকে পালিয়ে প্রথমে ভারতে যান। সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাইয়ে চলে যান।

মামলার অভিযুক্ত আসামি ১০ জন৷ এদের মধ্যে দুজন কিশোরী ৷ রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ও তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিতেন ৷ মামুন হত্যার ঘটনায় লাশ গোপন করতে সহায়তা করেছেন রবিউল ৷ খুনে সরাসরি জড়িতরাও রবিউলের সহযোগী৷

মামলাটিতে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন রবিউলের কতিথ স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া ৷ কারাগারে রয়েছেন আসামি রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দীদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩) ৷

মামলাটিতে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত ৷ এরপর ২০২২ সালের ২৮ জুলাই মামলায় একজন সাক্ষীকে হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ ৷ আর কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি ৷ গত বছরের ২০ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন ৷ সেটি বর্তমানে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল সাত্তার দুলালবলেন, সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে৷

ডিবি জানিয়েছে, মামুন খুনের পর দেশ থেকে পালিয়ে রবিউল প্রথমে ভারতে যান ৷ সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাইয়ে চলে যান৷ এদিকে তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সম্পর্ক রয়েছে বলে কথা উঠেছে৷

এরপর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি রবিউলকে চেনেন না, তাঁর সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয়ও নেই৷

বিষয়টি নিয়ে গতকাল চট্টগ্রামে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, রবিউলের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ উপযুক্ত সময়ে তা জানানো হবে ৷ তিনি আরও বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় যে নামে চার্জশিট হয়েছে, সেই নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ ইন্টারপোল সেটি গ্রহণ করেছে৷


রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত৷ গত সপ্তাহে আরাভ জুয়েলার্স নামে দুবাইয়ে সোনার বড় দোকান চালু করে আবারও আলোচনায় আসেন৷

মন্তব্য করুন: