গত অর্থবছরের চেয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে নতুন এডিপি ঘোষণা

রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ না থাকায় অনেকটাই কাটছাঁট করে নতুন অর্থবছরের জন্য এডিপি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অযথা প্রকল্প ব্যয় না বাড়িয়ে অর্থ সাশ্রয়ের মাধ্যমে মানুষকে স্বস্তিতে রেখে অর্থবছর শেষ করতেই অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কৌশল। ছোটো আকারের এডিপির প্রশংসা করলেও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন এতে চ্যালেঞ্জ থাকবে বিনিয়োগ ও মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের।
ব্যয়-সংকোচন নীতির পাশাপাশি আগের সরকারের রেখে যাওয়া কম গুরুত্বের প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ কাটছাঁট করে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপি অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যা শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের চেয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম। দেশের উন্নয়ন এবং অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে ১৫৪টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত এডিপিতে। অগ্রাধিকার পেয়েছে পরিবহন-যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ পাঁচটি খাত।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি ইতিবাচক। এডিপিতে প্রকল্প বাস্তবায়নে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সেটি না করা গেলে আগের মতোই অপচয়ের বৃত্তে আটকে থাকবে উন্নয়ন।
তাদের মতে, ঘোষিত এডিপিতে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ভারসাম্য রক্ষা পেলেও চ্যালেঞ্জ থাকবে বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাত বিকাশে।
প্রস্তাবিত এডিপিতে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৮৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: