সর্বজনীন পেনশন স্কিম গতিশীলে যে ১৭ ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন আরও গতিশীল করতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (এনপিএ) ১৭টি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এর মাধ্যমে নিবন্ধন, চাঁদা সংগ্রহ এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়াকে সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে বলে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার বেসরকারি ব্যাংকসমূহকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান এবং এ স্কিমের প্রচার জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন যাতে জনসাধারণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।
তিনি বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সফল বাস্তবায়নে তফশিলি ব্যাংকসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের গ্রাহকদের এই স্কিমে নিবন্ধন ও চাঁদা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে সর্বসাধারণের ভবিষ্যত আর্থিকভাবে সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে ইতিবাচক অবদান রাখেন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকগুলো হলো: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি, যমুনা ব্যাংক পিএলসি, মেঘনা ব্যাংক পিএলসি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি ব্যাংক পিএলসি, এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি, এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি, সীমান্ত ব্যাংক পিএলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি।
এ চুক্তির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪১টি ব্যাংক সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত হয়েছে। অবশিষ্ট দেশীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে একই ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চারটি পৃথক কর্মসূচি রয়েছে-প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা, যথাক্রমে প্রবাসী, বেসরকারি খাতের কর্মচারী, স্বনিয়োজিত ( Self-Employed) এবং নিম্ন-আয়ের জনগণের জন্য প্রণীত। প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জন্য একটি ইউনিক পেনশন আইডি প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে তারা অনলাইনে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের চাঁদা এবং মুনাফা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। অবসরোত্তর আর্থিক নিরাপত্তার পাশাপাশি, এই স্কিমে আয়কর রেয়াত, ঋণ সুবিধা এবং দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সরকারি সহঅংশীদারিত্বের সুবিধাও রয়েছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: