সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে আট দিন বন্ধ থাকার পর ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। মরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার (৪ অক্টোবর) সোনামসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে ১০টি ট্রাকে এসেছে ৩০ টন কাঁচা মরিচ। এদিকে গত দুই দিন ধরে বাজারে কাঁচা মরিচ উত্তাপ ছড়ালেও আমদানির খবরে দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমদানীকারকরা বলছেন, দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ৮ দিন বন্ধ ছিল আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। ছুটি শেষ হওয়ায় পূর্বের এলসি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচের ট্রাক শনিবার বিকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আগামী কয়দিনের মধ্যে আমদানি আরও বৃদ্ধি পাবে। আর আমদানি বৃদ্ধি পেলে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমে আসবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সারাদেশে নষ্ট হয়েছে মরিচের ক্ষেত। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশী মরিচের দাম বৃদ্ধির পথে। তবে ভারতের মধুপুর, বেলডাঙ্গা, বিহারসহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন বন্দরের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করছে। এসব মরিচ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ হওয়ার সাথে সাথে বাজারে মরিচের দাম কমে আসবে।
পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুর্গাপূজার ছুটিতে ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। ছুটির আগে দেশী কাঁচা মরিচ ১৩০ টাকা কেজি কিনলেও সেই মরিচ কিনতে হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। এখন আবার কাঁচা মরিচ আমদানী শুরু হওয়ায় বাজারে দাম কমলেও আমরা পাইকারী ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হচ্ছি।
এ বিষয়ে সোনামসজিদ পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা টিপু সুলতান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ১০টি ট্রাকে ৩০ টন ভারতীয় কাঁচা মরিচ প্রবেশ করেছে। ইয়ার্ডে সেগুলো আনলোড-লোড করা হচ্ছে। যেহেতু কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য সেহেতু শুল্কায়ন পরীক্ষণ শেষে পণ্যটি দ্রুত ছাড়ার সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করছি ছাড়ের পর কাঁচা মরিচের এই চালান দ্রুত দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়বে। এতে স্থানীয় বাজারে দাম কমে আসবে।
উল্লেখ্য, গত দুই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খুচরা বাজারে কেজিতে ২ শত টাকা থেকে বেড়ে ৪ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: