• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচারের তথ্য দিয়েছে সুইস ব্যাংক

প্রকাশিত: ১০:০৯, ১৯ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচারের তথ্য দিয়েছে সুইস ব্যাংক

ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে বাংলাদেশের ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থপাচারের তথ্য দিয়েছে সুইস ব্যাংক। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির জানিয়েছেন কোভিড-১৯ পরবর্তীতে দেশে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি ও ডলারের বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে আহ্বান করেছেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা আয়োজিত দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) 'বাংলাদেশ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নে প্রতিরোধ কার্যক্রমের ২০ বছর' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণে রিজার্ভ রয়েছে তাতে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণত তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান জলার মজুদ থাকলে রেজাল্ট স্থিতিশীল ধরা হয়। বর্তমানে আমাদের ৪১দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। এক মাসে আমদানি ব্যয় মেটাতে লাগে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে তিন মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধে ব্যয় হবে সাড়ে ২২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া সরকারের নিরাপত্তা সামগ্রী বাবদ আরও তিন বিলিয়ন ডলার দরকার হয় সব মিলিয়ে ২৬ বিলিয়ন ডলার থাকলেই চিন্তামুক্ত থাকা যায়।’

গত অর্থবছরে ব্যাংগুলো থেকে ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনে নিয়েছে। কারণ সে সময় কোভিড এর কারণে আমদানি ব্যয় কম প্রয়োজন ছিল। চলতি অর্থ বছরের শুরু থেকে আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর কাছে চাহিদা অনুযায়ী ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গভর্নর বলেন, ‘কোভিডকালে আমাদের ব্যাংকাররা সেবা দিতে গিয়ে ১৮৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং অসংখ্য ব্যাংকাররা আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ সে সময়ে সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন ব্যাংকাররা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এবং ইসলামী ব্যাংক প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা দিতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

গভর্নর বিএফআইইউ'র বিষয়ে বলেন, এন্টি মানি লন্ডারিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সংস্থাটি। লন্ডারিংয়ের টাকা যাতে টেরোরিজমে ব্যয় না হয় সে বিষয়ে সতর্ক সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেন গভর্নর।

দুর্যোগ কবলিত এলাকার বিষয়ে গভর্নর বলেন, সিলেটের কৃষকরা ঋণ পরিশোধ করুক বা না করুক তাদেরকে ঋণ বিতরণ বাড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়া বন্যার্ত এলাকায় সিএসআর খাত থেকে ব্যয়ের পরামর্শ দেন তিনি ‌।

বিএফআইইউ কর্মকর্তারা জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে সুইস অথোরিটির কাছে তথ্য চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ফিন্যািন্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।’

বিএফআইইউ'র অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, ‘পাচার করা অর্থ উদ্ধার জটিল কাজ। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছ থেকে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থের বিষয়ে ২০১৪ সাল থেকে তথ্য প্রকাশ করে আসছে ব্যাংকটি। সেই তথ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, দুদক ও তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে।’

সেমিনারে জানানো হয়, এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ৮০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর্থিক তথ্য সংগ্রহ করেছে  বিএফআইইউ।

বিভি/এইচএস/এনএ

মন্তব্য করুন: