• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বাড়তে পারে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ৫ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৯:৩২, ৫ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
বাড়তে পারে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

দেশে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা ভাবছে সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বারিধারার বাসায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের ব্যাপারে আমরা অপেক্ষায় আছি, গ্যাসের ব্যাপারে আমরা আরেকটা সমন্বয়ে যেতে চাচ্ছি এবং আমরা মনে করছি, তেলেরও একটা সমন্বয় হওয়া উচিত। ইতোমধ্যে বিপিসি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার উপরে নিজে থেকে লস দিয়েছে। এই সময়ে এটা বৃহৎ অ্যামাউন্ট। আমি মনে করি যে, কোথায় কমলো, কোথায় বাড়ল-তা না। বিশ্ব বাজারের সঙ্গে একটা সমন্বয় থাকা উচিত।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা গাড়ি ব্যবহার করেন তাদের জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য বলছি। মন্ত্রণালয়গুলোকে বলছি। এর মধ্যে একটি বিষয় আমাদের নজরে এসেছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারি গাড়ি যে কাজে দেওয়া হয়েছে সেটা না করে যত্রতত্র ব্যবহার করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেন নসরুল হামিদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস বুঝতে হবে, কারা কী বললো তাদের কথা অনুযায়ী তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না! বিভিন্ন মানুষ বিভিন্নভাবে কথা বলছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে তো পরিস্থিতি এ রকম ছিল না। আমরা তো পরিস্থিতি কন্ট্রোলে রাখি। ইউক্রেন যুদ্ধের পরও আমাদের পরিস্থিতি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে তেল এবং গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়াতে সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি করেছে। আমি দেখলাম, হাজারো মানুষ হাজারো পরামর্শ দেওয়া শুরু করে দিয়েছে; এটা করলে ভালো হতো, আগে কেন করলেন না। এটা আমাদের চিরাচরিত বাঙালি চরিত্র। তো কে কী বললো সেটা না, আমাদের সায়েন্টিফিক্যালি সমাধানে আসতে হবে।’

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী বর্তমান সংকটকে ‘যুদ্ধকালীন অবস্থা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে ১০০০-১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। ঘাটতি মেটাতে চলবে রুটিনমাফিক লোডশেডিং।’

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) দেয়া তথ্যানুযায়ী, দেশের প্রায় ৫১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বিদ্যুৎ আসে গ্যাস থেকে, ১৮ দশমিক ৯০ শতাংশ ফার্নেস অয়েল থেকে, ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ কয়লা থেকে, শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ জলবিদ্যুৎ থেকে, শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে এবং ১০ শতাংশ আমদানি করা হয়।

করোনাকালীন ২০২০ সালে যেখানে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ছিল মাত্র দুই ডলার, ২০২১ সালের অক্টোবরে এসে একই গ্যাসের দাম দাঁড়ায় ইউনিটপ্রতি ৩৫ ডলার। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের পরে হুহু করে বাড়তে শুরু করে গ্যাসের দাম। চলতি বছরের মার্চে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ছিল ৭০ ডলার। বর্তমানে প্রতি ইউনিট গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ৪০ ডলার। সূত্র: ম্যাকেঞ্জি এনার্জি ইনসাইট।

এত দামে গ্যাস কিনে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গেলে বাংলাদেশকে রিজার্ভ খালি করতে হবে, যা হবে অবিবেচক সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে ও কলকারখানা সচল রাখতে ‘ধীরে চল’ নীতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। 

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: