স্কুল খোলা না বন্ধ এ নিয়ে দ্বিধান্বিত অভিভাবকরা
স্কুল খোলা না বন্ধ এ নিয়ে দ্বিধান্বিত অভিভাবকরা। পাঁচ জেলায় মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা এলেও খোলা রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে যেসব প্রাথমিক খোলা রয়েছে সেখানেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই হাতেগোনা। স্কুল খোলা নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ঘড়ির কাটায় তখন সকাল সাতটা পঞ্চাশ। সকাল ৮টায় ক্লাস শুরু শহীদ বুদ্ধিজীবী আমিনউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অন্যসময় নীলক্ষেতের এই স্কুল প্রাঙ্গণ শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকলেও মাত্র দুজন শিক্ষার্থী এসেছেন এই প্রতিষ্ঠানে। অন্য সহপাঠিদের না পেয়ে তাই কিছুটা মন খারাপ ক্লাস টু এর শিক্ষার্থী ফাহমিদা জাহান সাকি ও ইলমা মরিয়ম ইশা।
খানিক বাদে ঢিলেঢালাভাবে আরো কিছু শিক্ষার্থীর আগমন। যথাসময়ে ক্লাসও শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই কম। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বলছেন, অভিভাবকরা দ্বিধান্বিত সরকারি ঘোষণা নিয়ে। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবার চোখ ফেরানো যাক রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে। রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। যেখানে স্বয়ং কর্তৃপক্ষই দ্বিধান্বিত স্কুল খোলার নির্দেশনা নিয়ে। সকাল থেকে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা আসলেও স্কুল বন্ধ থাকায় ফেরত যেতে হয়েছে তাদের।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে স্কুল বন্ধের কোন নোটিশ না থাকলেও আজিমপুরেই অবস্থিত ভিকারুন্নেসা স্কুলের অন্য একটি শাখাও পুরোপুরি বন্ধ।
গরমের তীব্রতা বাড়তে থাকলে অন্তত প্রাথমিকের ক্লাস অনলাইনে চালুর দাবি জানান অনেক অভিভাবক।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: