ববিতে পাত্রপাত্রীর সন্ধানে গণবিয়ের আয়োজন!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিল রেখে স্বাধীনতা উদযাপন উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) গণবিবাহের আয়োজন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ও শেরে বাংলা হলের শিক্ষার্থীরা। বিয়ের সকল খরচ হলের শিক্ষার্থীরাই বহন করবে বলে জানা গেছে।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে পাত্র ও পাত্রী খুঁজে বেরাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বন্ধু, ব্যাচমেট বা শুভাকাঙ্ক্ষীরা পাত্র ও পাত্রী খুঁজে পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অধিকাংশ ছেলেরা সুদর্শন নারীর খোঁজ করে পোস্ট করছেন। সাথে মেয়েরাও করছেন পোস্ট।এদিকে গণবিয়ের দাবি নিয়ে গণমিছিলের আয়োজন করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা চায়, গণবিয়ে হোক। সবারই একজন করে জীবনসঙ্গী হোক। পড়ালেখার পাশাপাশি সংসার বা একক পরিবার গড়ে উঠুক। তাতে অনেকটা চিন্তামুক্ত থাকা যাবে।
ইতোমধ্যে পাত্র বা পাত্রী খুঁজে পোস্ট করছেন অনেক শিক্ষার্থীরা। অনেকে ছেলে বা মেয়ের ক্ষেত্রে জীবনবৃত্তান্ত বা গায়ের রং, উচ্চতা, বয়স ও অনার্স কোন বর্ষে অধ্যয়নরত তা দিয়ে খুঁজা হচ্ছে পাত্র ও পাত্রী। একটি সময় নির্ধারণ দিয়ে স্বাধীনতা-২ উপলক্ষে এ ধরণের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি মজার উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা গণবিবাহের আয়োজন করেছি ঠিক, কিন্তু এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি বাহিরের অনেকে পোস্ট করে মজা নিচ্ছেন, তা আমরাও উপভোগ করছি। বিষয়টি আসলেই সিরিয়াস না। এক্ষেত্রে যদি কেউ প্রভাবিত হয়ে সিরিয়াস প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তো বিয়ে পর্যন্ত গড়াতেও পারে। তাতে সিঙ্গেলরা ভরসা পাবে। যারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাদের নির্ধারিত দিনেই গণবিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
তারা জানান, যে সকল যুগল ইচ্ছে থাকার শর্তেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারছে না, তাদের জন্য গণ বিবাহের আয়োজন করা হয়েছে। বিবাহের প্রাথমিক ব্যয় হল পরিবার শিক্ষার্থীরা বহন করবে। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনা হল ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের মেয়েদের সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিবাহের শর্ত হলের সাবেক বা বর্তমান শিক্ষার্থী হতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়, তাহলে আমরা আগামী শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর প্রোগ্রামের আয়োজন করা হবে। যারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে ইচ্ছুক তাদেরকে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তারা।
গণবিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান মুন্না বলেন, সার্বিকভাবে ববির এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আমার মনে হয়, এটা ছাত্র সমাজের জন্য একটা ইতিবাচক উদ্যোগ। তবে, এই উদ্যোগের সফলতা নির্ভর করবে কতটা সুষ্ঠুভাবে এটা পরিচালিত হয় তার উপর। আমি আশা করি, এই গণবিবাহ সফল হবে এবং ক্যাম্পাস জীবনের ইতিহাসে একটা সুন্দর অধ্যায় যোগ করবে।
অন্য দিকে জান্নাতুল বুশরা ইতি নামে এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এক ফেসবুক গ্রুপে লিখেন, আজ হলবাসী নয় বলে আফসোস হচ্ছে। ফারিয়া সুলতানা লিজা নামে এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এক ফেসবুক গ্রুপে লিখেন, ব্যক্তিগত কেউ না থাকায় সুযোগ লুফে নিতে পারলাম না।
গণবিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে ববির বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান হাসিব নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, যারা এতদিন সিঙ্গেল ছিল তারা যদি যুগল হয় তাহলে এটি হবে তাদের সুবর্ণ সুযোগ। বিবাহ একটি ফরজ কাজ।এজন্য যোগ্যতা বিশেষ ও পছন্দ অনুযায়ী দ্রুত বিয়ে করা উচিত। আর এটিই তাদের জন্য ভালো সুযোগ যেখানে শিক্ষার্থীরা সকল খরচ বহন করবে।
মন্তব্য করুন: