• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাকসু নির্বাচন: অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে তিন শিক্ষকের ভোট বর্জন

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
জাকসু নির্বাচন: অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে তিন শিক্ষকের ভোট বর্জন

জাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের তিন শিক্ষক। এর আগে একই অভিযোগ তুলে বর্জন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। তিন শিক্ষক হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নাহরীন ইসলাম খান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নাহরীন ইসলাম খান বলেন, আমাদের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী আছে যাদের নাম ভোটার লিস্টে ওঠে নাই, যার এক্সিস্টিং ছাত্র-ছাত্রী। এটা কেন হল- এসব প্রশ্নের প্রশাসনকে অবশ্যই দিতে হবে। বুধবার রাত থেকে অনেকগুলো ‘বিষয়’ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা অনেকগুলো অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারপরও আমাদের অনুরোধগুলোকে কর্ণপাত করা হয়নি। আমি যখন কলমের কালি (অমোছনীয় কালি) নিয়ে আমি যখন কমপ্লেইন করেছি, যারা দ্বায়িত্বে আছেন তারা এটাকে এক ধরনের হালকাভাবে নিয়েছে। আমি মনে করি এটা কোনোভাবেই হালকাভাবে দেখা সম্ভব না। নির্বাচন সেটা যত বড় বা ছোট জায়গাতেই হোক সেটা সুষ্ঠু হতে হবে, একটা জাল ভোটও যাতে এ ক্যাম্পাসে না পড়ে। আমরা যারা দ্বায়িত্বে আছি, আমরা মনে করি, এই দ্বায়িত্বে থাকা মানে আমাদের নিজেদের কাছে নিজেদের জবাবদিহিতা নাই, আমরা যদি নির্বাচনে এ রকম প্রহসন দেখেও নির্বাচনের সাথে থাকি তাহলে কোনোভাবেই আমার বিবেকের কাছে ..(জবাব) দিতে পারব না।

গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে ভোট গণণার জন্য যে মেশিনটি আনার কথা ছিল, এবং যে ব্যালট ছাপানো হয়েছে, সেটা প্রমাণ সহকারে নির্বাচন কমিশনের কাছে আসছে- সেটা জামায়াতে ইসলামীর কোনো এক নেতার কোম্পানি থেকে ছাপানো হয়েছে। প্রমাণ পেয়ে নির্বাচন কমিশন মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা থেকে সরে আসে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে যে কোম্পানির মাধ্যমে তারা ব্যালট পেপার ছাপিয়য়েছেন, ভোট গণনার দ্বায়িত্ব দিয়েছেন সেটা সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক ছিল। কারচুপি করার জন্য বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমরা মনে করি, অতিরিক্ত ব্যালট ছাপিয়ে এনে গোপনে তারা হয়তোবা এভাবে ভোটাধিক্য দেখিয়ে তারা জয়লাভ করতে পারে। সামগ্রিকভাবে ছেলেদের হলগুলোতে বিশেষ করে তাজউদ্দিন হল, কবি নজরুল হল, এছাড়া ১৫ নম্বর ছাত্রী হল, খালেদা জিয়া হল, জাহানার ইমাম হলসহঅলমোস্ট সকল হলে অব্যবস্থাপনা-অনিয়ম ছিল। একটা বিশেষ দলের-বিশেষ গোষ্ঠীর যেরকম উগ্রপন্থী আচরণ ছিল সে কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং জাতীয়বাদী ছাত্রদল এর মধ্যে নির্বাচন বর্জন করেছে। সেজন্য আমরা শিক্ষকরাও যে দ্বায়িত্ব পালন করছিলাম তা থেকে অব্যহতি নিচ্ছি।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, এখানে নানান ধরনের অনিয়ম হয়েছে। আমরা গতকাল থেকেই শুনতে পাচ্ছিলাম, আপনারা ফেইসবুকে দেখেছেন- অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। কেন অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হলো, নিশ্চয়ই এটার পেছনে উদ্দেশ্য আছে। নির্বাচনের সময় নতুন নতুন ভোটার তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়েছে আজকে যে নির্বাচন হয়েছে সেটা একটা সাজানো নাটক। এই নাটক থেকে আমাদের সরে আসা দরকার, তাই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: