বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য: চবি উপ-উপাচার্যে পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শামীম উদ্দীন খানের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবিতে চবির প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন তারা।
এসময় ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় চলে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। জামাতিদের টাকায় নয়। বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন খান পাকিস্তানিদের যোদ্ধা বলেছে। অথচ এই পাকিস্তানি বাহিনী এদেশের জনগণকে হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। উপ-উপাচার্যের এমন বক্তব্যর জন্য ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই তালা খোলা হবে না বলেও জানান তারা।
এর আগে রবিবার বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে আয়োজিত মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা শীর্ষক আলোচনা সভায় চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী যে সময় পালানোর চেষ্টা করছে, তারা জীবিত থাকবে নাকি মৃত থাকবে সেই ফয়সালা হয়নি সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর কথা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি দেশের করদ রাজ্য বানানোর জন্য ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ছিল মূলত আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে খোদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার এমন বক্তব্যের ক্যাম্পাসে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এরপর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: