মালাইকা অরোরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ফাইল ছবি
সম্প্রতি বাবার মৃত্যু ঘটেছে, প্রেম ভেঙেছে অর্জুনের সঙ্গে, মালাইকা অরোরার জীবনে বিপর্যয়ের যেন শেষ নেই। এরই মাঝে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
২০১২ সালের একটি মামলায় তাকে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি আদালতের নির্দেশ এড়িয়ে গিয়েছেন। সেই কারণে মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন তার বিরুদ্ধে। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সাইফ আলি খানও।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে শিল্পপতি ইকবাল শর্মার ওপর হামলার চালানোর অভিযোগ ওঠে শিল্পপতি বিলাল আমরোহি ও মালাইকার ভগ্নিপতি শাহিল লাদাখের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী সেই ভারতীয় শিল্পপতি, সাইফ ও তার গ্রুপের বিরুদ্ধে চিৎচার-চেঁচামেচি এবং অশোভনীয় আচরণের অভিযোগ তোলেন। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়, যা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়।
সাইফের বিরুদ্ধে ওই শিল্পপতিকে ঘুষি মেরে তার নাক ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।ইকবাল শর্মার শ্বশুর রমনভাই প্যাটেলকেও হেনস্তার অভিযোগ ওঠে অভিনেতা ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় মালাইকা অরোরাকে। তিনি হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পাঁচ হাজার টাকার জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ঘটনার রাতে কোলাবার পাঁচতারা হোটেলে সাইফ ও অন্যদের সঙ্গেই ছিলেন মালাইকা অরোরা। পুলিশের দাবি, ঘটনা ঘটে তার চোখের সামনেই। ফলে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাকে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান, অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর, অমৃতা অরোরা লাদাখ, ফ্যাশন ডিজাইনার বিক্রম পড়নিশও। একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয় সাইফ আলি খান, শাকিল লাদাখ ও বিলাল আমরোহির বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয় সাইফের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে শিল্পপতির শ্বশুরকেও হেনস্তা ও মারধর করা হয়েছে।
সেশন আদালতের দ্বারস্থ হন সাইফ। তবে ২০১৯ সালের তার মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এরপর ২০২৩ সালে সইফকে বেকসুর খালাস করেন আদালত। তবে বিচার শেষ হওয়ার আগে ও বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রায়দানের আগে বিশেষ নজর রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ওপর। সেই কারণেই তলব করা হয় মালাইকা অরোরাকে।
জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ মালাইকা অরোরার বোন অভিনেত্রী অমৃতা আরোরা লাদাখ তৃতীয় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাইফকেই উল্টে মারধর করেন ওই শিল্পপতি। তবে আদালত ডাকা সত্ত্বেও আদালতে যাননি মালাইকা। সেই কারণেই জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
বিভি/জোহা
মন্তব্য করুন: