• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিএনপিকে প্রতিপক্ষ মনে করি তারা আামাদের শত্রু মনে করে: কাদের 

প্রকাশিত: ১৩:০০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৩:০২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিএনপিকে প্রতিপক্ষ মনে করি তারা আামাদের শত্রু মনে করে: কাদের 

রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গণতান্ত্রিকভাবে চাই। আন্দোলন থাকবে। জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে। কিন্তু নেতাকর্মীদের দিয়ে ধ্বংসের রাজনীতি করা হলে সেটা জনগণকে নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা বিএনপিকে যেটা বলি- তারা আমাদের শত্রু নয়। আমরা তাদের প্রতিপক্ষ মনে করি তারা আামাদের শত্রু মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।  এসময় সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতি করেই সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি। আওয়ামী লীগের মত দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। একই সাথে দু’টি দায়িত্ব পালন করছি। মেগা প্রকল্পের চাপ সামলাতে হয়েছে। পদ্মা সেতু হয়েছে। সেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। 

কিছুদিনের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পদ্মাসেতুর সুফল পৌঁছে দিতে চাই। অক্টোবরে কালনা সেতু উদ্বোধন করানহবে। এরপরই এসব এলাকার যোগাযোগ সহজতর হবে।

মেট্রোরেল এর ৯৪%কাজ হয়েছে। আগামী বছর ডিসেম্বরের আগেই মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষ হবে। চট্টগ্রামে টানেল এর প্রথম টিউবটি অক্টোবরের শেষে ও দ্বিতীয়টি নভেম্বরের শেষে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

৮৭টি ছোটো বড় প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ২৮টির কাজ চলছে। মেট্রো-১ এর কাজ যেকোনো সময় উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি এমআরটি হবে, তখন ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে যাবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজ টানাপোড়েনের মধ্যে শুরু হলেও অনেক এগিয়েছে। ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।  

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জট কেটে গেছে অনেকটা। সড়ক নিরাপত্তা একটা বিষয়। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে কিছু পদক্ষেপে দুর্ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে। 

ড্রাইভিংয়ের ব্যাপারে অনেক কিছু করার আছে। বন্ধ থাকলেও মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল করে। এতে দুর্ঘটনা কমলেও হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। রোডসেফটি নিয়ে বিশ্বব্যাংককে বলেছি- পদ্মা সেতু তো করেননি, রোড সেফটি নিয়ে সহায়তা করেন, সেখানে সঠিকভাবে কাজ করেন। রোড সেফটি অনেক চ্যালেঞ্জিং, তাই সবার সহযোগিতা দরকার।

পার্টির ব্যাপারে আমি বলব না খুব সফল। তবে অনেক সম্মেলন করে সংগঠনকে গতিশীল করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে চ্যালেঞ্জ থাকে জটিলতা থাকে। তবে সেটা মোকাবেলায় কাজও চলমান। 

স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে বিদ্রোহী ছিল। সামগ্রিকভাবে ফলাফল ভালো করেছি। সামনে একটা উপনির্বাচন ও জেলা পরিষদের নির্বাচন রয়েছে। পার্বত্য তিন জেলা ছাড়া অন্য সব জেলায় প্রার্থী ঘোষণা দেয়া হবে।

মন্ত্রীর তো বয়সের বিষয় নেই। রাজনীতিতে বয়সের সীমা থাকে না। এটা নিজের ওপরে নির্ভর করে। কেউ কেউ বয়সের কারণে দায়িত্ব পালন করতে না চাইলেও তাকে কোনো না কোনোভাবে রাখা হয়, যেমন উপদেষ্টা। 

সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে নেত্রী বিচার-বিশ্লেষণ করে তার সিদ্ধান্ত দেন। এই মন্ত্রীসভায় যারা আছে তাদের দুর্বলতা থাকতে পারে, কিন্তু মন্ত্রীসভা দুর্বল নয়। 

ইভিএমে ভোটের বিষয়ে আগেও তিনশ আসনে চেয়েছি। এবারও তাই বলেছি কমিশনকে। তবে কমিশন ঘোষণা দিয়েছে ১৫০ আসনে করবে, এটাকেও স্বাগত জানাই। কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা করার দরকার তা করবে। তবে আমরা চাই কারচুপিমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন। ইসি কি করবে সেটা তাদের বিষয়।

রাজনীতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গণতান্ত্রিকভাবে চাই। আন্দোলন থাকবে। জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে। কিন্তু নেতাকর্মীদের দিয়ে ধ্বংসের রাজনীতি করা হলে সেটা জনগণকে নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা বিএনপিকে যেটা বলি- তারা আমাদের শত্রু নয়। আমরা তাদের প্রতিপক্ষ মনে করি তারা আামাদের শত্রু মনে করে।

পুলিশের সাথে সংঘাত বাঁধিয়ে দিল, কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগের সাথেও জড়িয়ে পড়ল। দলকে বলা হযেছে গায়ে পড়ে ক্রো সাথে সংঘর্ষে জড়ানো যাবে না। তবে, হামলা হলে দলের-নেতাকর্মীরা বসে থাকে না, রাখা যায় না।

প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় তাদের নেত্রী আছেন। তাদের দলে গণতন্ত্র কোথায়। তাদের সম্মেলন,কাউন্সিলের কোনো খবর আছে। তাদের অনেক সময় দেয়া হয় সংসদে। নিজের ঘরে গণতন্ত্র নেই,  দেশে গণতন্ত্র নিয়ে চিৎকার করে বেড়াচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবসময় প্রধানমন্ত্রীর সাথে থাকতে হবে এমন কোনো বিধান নেই। তিনি অসুস্থ। এজন্য পরিবর্তন বা মন্ত্রীত্ব চলে যাবে কীনা সেটা আমার বলা উচিত নয়। এটা প্রধানমন্ত্রী ভালো জানেন।

জিএম কাদের জোটে যাবেন, সেটা তাদের ব্যাপার। যে কোনো জোটেই তিনি যেতে পারেন। মেট্রোরেলের ব্যাপারে ভাড়া আপাত বেশি মনে হলেও যখন কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন তখন এটা স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নেবেন বলে মনে করি। পদ্মাসেতু মটরসাইকেল চলাচলের উপযোগী নয়, সেরুটে গাড়ি বাড়ছে তাই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

বিএনপির স্বভাব কিছু বলা। তাদের নেত্রী সফর থেকে এসে বলেন ভুলে গেছি। তাদের এসব কথা মানায় না।  তিস্তা হয়নি, কিন্তু সাতটি সমঝোতা ও পাঁচটি চুক্তি হয়েছে। কুশিয়ারা হয়েছে তিস্তাও হবে। শেখ হাসিনা তো ভুলে যাননি। সব না হলেও অনেক কিছু পেয়েছি। বিএনপির তো না পাওয়ার হতাশা। আমরা সৌহার্দ্যের বন্ধন তৈরি করেছি। আমরা বন্ধুত্ব করেছি ভারতের সাথে, বন্ধুত্ব থাকলেই অনেক সমস্যার সমাধান হবে। 

সহিংসতার পথ থেকে সরে আসতে হবে বিএনপিকে। পুলিশের ওপর হামলা করা থেকে সরে আসতে হবে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আন্দোলনের কোনো বাঁধা নেই।

সরকারি দল থাকলে আমি শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল, তাই অন্য রাজনৈতিক দলকে ভাঙ্গার চেষ্টা করার কোনো কারণ নেই।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: