‘নেতানিয়াহুর আচরণে বিরক্ত ট্রাম্প, বিশ্বাসঘাতকতার আঁচ পাচ্ছেন’

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলা-পাল্টা হামলার পর যুদ্ধ বিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইরানের ওপর হামলার ঘটনায় ইসরাইলের উপর বিরক্ত ট্রাম্প। চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলার এই ঘটনায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু তার সঙ্গে কিছুটা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলেও মনে করেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি ফিল ল্যাভেল ট্রাম্পের এই মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। যুদ্ধ নিয়ে আল জাজিরার লাইভ সংবাদের একটি বিশ্লেষণে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে অংশ নিতে ইউরোপ সফরের আগে ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসরাইলের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরাইল ও ইরান উভয়েই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে—এটি আমাকে হতাশ করেছে।
ওই ঘটনার ব্যাখ্যায় ল্যাভেল বলেন, ‘তিনি ইসরাইল ও ইরান—উভয়ের ওপরই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, অতিরিক্ত যে ক্ষোভ, সেটা ছিল ইসরাইলের প্রতি। ট্রাম্প স্পষ্টভাবেই নেতানিয়াহুর আচরণে ভীষণ বিরক্ত এবং হয়তো বিশ্বাসঘাতকতা অনুভব করছেন।'
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন নিশ্চিত করতে সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর এই চুক্তিতে ইরানকে রাজি করানোর ক্ষেত্রে কাতারের সহায়তা নেন তিনি।
মঙ্গলবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ইসরাইল, বোমা ফেলা একদম বন্ধ করো। যদি এটা বন্ধ না করো, তাহলে তা হবে যুদ্ধবিরতির গুরুতর লঙ্ঘন। এখনই, এই মুহূর্তে নিজেদের পাইলটদের ফিরিয়ে আনো।
এর আগে গত শনিবার ইরানের পরমাণু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তিনটি স্থাপনায় বোমবর্ষণ করে মার্কিন বিমান বাহিনী। পরে সোমবার রাতে কাতার ও ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে মোট ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: