• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ বাড়লো 

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২৮ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ বাড়লো 

মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রিমান্ডের মেয়াদ প্রথম দফায় আরও চার দিন বাড়িয়েছেন ভারতের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দিল্লির একটি আদালত তার রিমান্ডের মেয়াদ আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিল্লিতে মদের দোকানের লাইসেন্স দেয়ার নীতি বদল করে কেজরিওয়াল এবং কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা মদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, এ অভিযোগের তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি।

এ মামলায় সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেজরিওয়ালের বাসভবনে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সেখান থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ২৮ মার্চ পর্যন্ত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়।
 
বৃহস্পতিবার আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের কাছে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। মানুষ এর জবাব দেবে।’
 
তবে ইডির আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, কেজরিওয়াল ইচ্ছাকৃতভাবেই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। তাই তাকে আরও সাত দিন রিমান্ডে রাখা প্রয়োজন।
 
এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার ইস্যুতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উত্তপ্ত।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, তারা কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং কারাবন্দি আম আদমি পার্টি নেতার (কেজরিওয়াল) জন্য ‘ন্যায্য এবং সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়া’ নিশ্চিত করতে নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
 
যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর দেশটির ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন গ্লোরিয়া বারবেনাকে বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি প্রায় ৪০ মিনিট ছিলেন।
 
এদিনই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলারের কাছে এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কূটনৈতিক স্তরে কী আলোচনা হয়েছে, তা প্রকাশ করা সমীচীন নয়। তবে আমরা বরাবরই প্রকাশ্যে যা বলে আসছি, তা আবারো বলছি। আমরা এসব ক্ষেত্রে বৈধ, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহী করি। আমরা খুব কাছে থেকে এসব বিষয়সহ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করছি।

এর পর বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন,ভারতের নির্বাচনী ও আইনি প্রক্রিয়ায় এই ধরনের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
 
তিনি আরও বলেন, ভারতে আইনি প্রক্রিয়া শুধুমাত্র আইনের শাসন দ্বারা চালিত হয়। যেসব দেশের একই নীতি, বিশেষ করে একই রকম গণতন্ত্রের, তাদের এই সত্যকে উপলব্ধি করতে কোনো অসুবিধা হবে না।

জয়সওয়াল বলেন, ভারত তাদের ‘স্বাধীন ও শক্তিশালী’ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে গর্বিত এবং অনাবশ্যক বাহ্যিক প্রভাব থেকে সেগুলোকে রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
 

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: