• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপ? (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২১ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৬:০০, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ফন্ট সাইজ

ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০০ দিন পার হলেও বন্ধের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, বাড়ছে পরমাণু হামলার আশঙ্কা। ইউরোপের দেশগুলোতে একে একে বন্ধ হচ্ছে ইউক্রেনের দূতাবাস। একদিকে রাশিয়ার বড় আকারে হামলা প্রস্তুতির গুঞ্জন, অন্যদিকে আতঙকে থমথমে ইউক্রেন। পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে সংঘাতে আরও অনেক দেশের জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে। আর সেটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

ইউক্রেন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানোয় ওয়াশিংটন ও মস্কো মুখোমুখি লড়াইয়ে নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। রাশিয়ার কঠোর সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ইউক্রেন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়। পাল্টা হামলার আশঙ্কায় এরই মধ্যে ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে স্পেন, গ্রিস, ইতালিসহ আরও কয়েকটি দেশ।

সম্প্রতি আরেকটি বড় পরিবর্তন ঘটিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তারা ইউক্রেনকে মানববিধ্বংসী স্থলমাইন সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতভর দূতাবাস এলাকায় বেশ কয়েকবার বিমান হামলার সাইরেন বেজেছে। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এরই মধ্যে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে বা সংকটকালে দুই পক্ষের মধ্যে আলাপের জন্য যে হটলাইন চালু থাকে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সেটিও আর সচল নেই। চরম বৈরিতার মধ্যেও বিভিন্ন দেশ এ হটলাইন চালু রাখে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে কোন সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোন বড় কোন হামলার ঘটনা।

চলমান উত্তেজনার সাথে জড়িয়ে গেছে ইউরোপের আরেক প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাজ্য। রাশিয়ার ভেতরে যুক্তরাজ্যের নির্মিত স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয়েছে। কমপক্ষে ১৪টি বড় ধরনের বিস্ফোরণ শোনা গেছে। ইউক্রেনের পাঁশে দাঁড়িয়েছে আরেক ইউরোপীয় দেশ নেদারল্যান্ডস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের সৈন্যদের যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য এফ সিক্সটিন বিমানের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে দেশটি। ইউক্রেনকে সহায়তা করছে ডেনমার্কও। যুদ্ধের জন্য কিয়েভকে দূরপাল্লার ড্রোন ও মিসাইল সরবরাহ করছে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে রাশিয়া। তেজস্ক্রিয়তাসহ নানা ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা পেতে ভ্রাম্যমাণ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছে দেশটি। কেইউবি–এম নামের এই আশ্রয়কেন্দ্রটি ৪৮ ঘণ্টার জন্য সুরক্ষা দিতে পারবে মানুষকে। এর একটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।

তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেও আশা জাগিয়েছে পুতিনের যুদ্ধ বিরতির শর্ত। রাশিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্রেমলিন দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজি হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে পুতিনের। প্রথমত, যুদ্ধ অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়বে না রাশিয়া। পাশাপাশি কিয়েভ ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে না। বন্দি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রত্যেক রাশিয়ান সেনাকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে দিতে হবে। এছাড়া, শান্তি ফেরাতে আমেরিকা-রাশিয়ার যে কোনো ধরনের চুক্তিতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে ইউক্রেনকে। তবে বর্তমান বাস্তবতায় ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলো এসব শর্তে রাজি হবে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যায়। 

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2