• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ৩ মে ২০২৫

আপডেট: ১২:০১, ৩ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

এবার সৌদি আরবকে ৩৫০ কোটি ডলারের এক হাজারটি এআইএম-১২০সি-৮ মাঝারি পাল্লার এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ২ মে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, চলতি মে মাসেই সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরব সফরে দেশটির নেতাদের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের বিভিন্ন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবশ্য তার আগেই ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির খবরটি সামনে এলো। 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক হাজার এআইএম-১২০সি-৮ ক্ষেপণাস্ত্র, ৫০টি আমরাম গাইডেন্স সেকশন ও অন্যান্য বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য প্রস্তাব পাঠায় সৌদি আরব।

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরে দেশটির সাথে ১০ হাজার কোটি ডলারের সমমূল্যের অস্ত্র, বিস্ফোরক ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটি প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে দেশের কংগ্রেসকে অবহিত করা হয়েছে।

আগামী ১৩ মে থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরু থেকেই সৌদি আরবের সাথে বড় আকারে বাণিজ্যিক চুক্তি করার আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও রয়েছে। ২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তিনি তার প্রথম বিদেশ সফরের জন্য সৌদি আরবকেই বেছে নিয়েছিলেন।

এছাড়া, সৌদি আরবকে দীর্ঘ সময় ধরে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে, তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প রিয়াদ সফরের সময় সৌদি আরবকে ১১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেন। তবে ২০১৮ সালে সেই প্রস্তাব থেকে মাত্র সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়। একই বছরের অক্টোবর মাসে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পর মার্কিন কংগ্রেস ওই অস্ত্র চুক্তিগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলার শুরু করে।

খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সৌদি আরবকে ইয়েমেন যুদ্ধের তীব্রতা কমিয়ে আনতে বাধ্য করা। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষে বহু সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারায়।

মার্কিন আইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিক্রির বড় চুক্তিগুলো কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে সৌদি আরবের প্রতি সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব প্রদর্শন করতে বাধ্য হয় বাইডেন প্রশাসন।

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2