আবারও খাবার আনতে গিয়ে ইসরাইলি বর্বরতায় লাশ হলো ২৭ ফিলিস্তিনি

খাবার আনতে গিয়ে প্রাণ হারালো আরও ২৭ ফিলিস্তিনি। দখলদার ইসরাইলের সেনারা মঙ্গলবার (৩ জুন) গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে গুলি ছুড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ শহরে ত্রাণ কেন্দ্রটিতে ওই ঘটনার সময় লোকজন ত্রাণের জন্য অপেক্ষমান ছিল।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, কয়েকজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করার পর তারা গুলি চালিয়েছে।
গুলির এই ঘটনায় আরও অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ওদিকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) জানিয়েছে তারা কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই ত্রাণ বিতরণ করেছে।
তবে তারা যে খাবার বিতরণ করেছে সেগুলো রান্না করে খেতে হবে কিন্তু সেখানকার মানুষের রান্নার সুবিধা কতটা আছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এর আগে রবিবারও গাজার একটি ত্রাণকেন্দ্রে গুলির ঘটনা ঘটেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত রাফাহ কেন্দ্রে মানুষ খাবারের জন্য অপেক্ষা করার সময় গুলির কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
রেড ক্রস জানিয়েছিল, তাদের হাসপাতালে ১৭৯ জন হতাহত আসে যাদের মধ্যে ২১ জন মারা যান। হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থা মৃতের সংখ্যা ৩১ জন বলে জানায়।
এই হত্যার ঘটনায় ইসরাইলের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।
তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী রবিবার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা অস্বীকার করেছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: