সম্পর্কে টানাপোড়েন: রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হলো ব্রিটিশ কাউন্সিল

'অনাকাঙ্ক্ষিত সংস্থা' অভিহিত করে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রুশ কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাশাপাশি লন্ডনকে 'বৈশ্বিক সংকটের কারিগর ও যুদ্ধে উসকানিদাতা' হিসেবে চিহ্নিত করেছে মস্কো।
২০২২ সালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরুর আগে থেকেই মস্কো-লন্ডন সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল।
ধারাবাহিকভাবে দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি, গুপ্তচরবৃত্তি, অযাচিত হস্তক্ষেপসহ নানা অভিযোগ আনে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে ব্রিটেনের মাটিতে বিষ প্রয়োগের ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।
রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে প্রধান অভিযোগ হলো, 'ইংরেজি শেখানোর অযুহাতে' যুক্তরাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর প্রচারণা চালানো।
এসব চিন্তাধারাকে রাশিয়ায় 'উগ্রবাদ' বলে বিবেচনা করা হয়।
সংস্থাটি জানায়, 'সুপরিকল্পিতভাবে রুশ প্রজাতন্ত্রের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রনীতির অবমাননা করার জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে।'
মস্কো এর আগেও বেশ কয়েকটি পশ্চিম সমর্থিত সংস্থাকে 'অনাকাঙ্ক্ষিত' বলে অভিহিত করেছে। এই তকমা পেলে ওই সংগঠন আর রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত কোনো সংস্থায় কেউ চাকরি করলে তাকে দীর্ঘ কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এফএসবি নিরাপত্তা সেবা এই সিদ্ধান্তের পেছনে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে। সংস্থাটি ব্রিটেনকে 'বৈশ্বিক সংকটের মূল উৎস, উসকানিদাতা ও যুদ্ধ শুরু করার কারিগর' বলে অভিহিত করে।
রুশ সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তি এফএসবির বরাত দিয়ে জানায়, 'লন্ডন সামরিক ক্যুর বন্দোবস্ত করে। শুধু তাদের ভূরাজনৈতিক শত্রু নয়, বরং সবচেয়ে কাছের মিত্রদেরও দুর্বল করে তোলে। এক দেশকে অপর দেশের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয় এবং তাদের নিজেদের শুরু করা রক্তাক্ত সংঘাতগুলোর সমাধানের পথ বন্ধ করে দেয়'।
আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্যই ছিল ইউক্রেনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহায়তাকারী।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: