দুর্নীতিবিরোধী টানা বিক্ষোভে মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ছবি: এপি
টানা বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে উত্তর এশিয়ার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভসাননামস্রাইন ওইয়ুন-এরদেন। দুর্নীতি-বিরোধী টানা বিক্ষোভের মুখে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পদত্যাগ করেন তিনি। মঙ্গলবার (৩ জুন) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন ওইয়ুন-এরদেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতিবিরোধী টানা বিক্ষোভের পর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেছেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভসাননামস্রাইন ওইয়ুন-এরদেন। মঙ্গলবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পদত্যাগের পর ওইয়ুন-এরদেন এখন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে হবে।
জানা যায়, রাজধানী উলানবাটারে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কেন্দ্রে ছিল প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপন। এসব ইস্যু নিয়ে জনরোষ বাড়তে থাকলে পার্লামেন্টে ওইয়ুন-এরদেনের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়। ১২৬ আসনের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে জয় পাওয়ার জন্য ৬৪ ভোটের প্রয়োজন থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪৪টি ভোট; বিপক্ষে ভোট পড়ে ৩৮টি।
ভোটের ফল ঘোষণার পর ওইয়ুন-এরদেন বলেন, মহামারি, যুদ্ধ ও মূল্যস্ফীতির মতো কঠিন সময়ে দেশ ও জনগণের সেবা করতে পেরে আমি গর্বিত। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন ওইয়ুন-এরদেন। এরপর ২০২৪ সালের জুলাইয়ে পুনর্নির্বাচিত হলেও দুর্নীতির অভিযোগ ও জনবিক্ষোভের চাপের মুখে পড়েন তিনি।
উত্তর এশিয়ার এই স্থলবেষ্টিত গণতান্ত্রিক দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপক দুর্নীতির সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে কয়লাখনি বাণিজ্য থেকে আসা বিপুল মুনাফা যে কেবলমাত্র ধনী অভিজাত শ্রেণির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, তা নিয়ে বহুদিন ধরে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে। সোমবার (২ জুন) রাজধানীর পার্লামেন্ট ভবনের সামনে শত শত তরুণ-তরুণী সাদা প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করেন এবং স্লোগান দেন—‘পদত্যাগ করা তো সহজ!’
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: