• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

হজে ভাষার সমস্যা দূর করতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার সৌদির

প্রকাশিত: ১১:৪১, ৫ জুন ২০২৫

আপডেট: ১১:৪৪, ৫ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
হজে ভাষার সমস্যা দূর করতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার সৌদির

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের অন্যতম প্রধান একটি স্তম্ভ পবিত্র হজ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনসমাগমের একটি, যেখানে প্রতিবছর বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবে হজ পালন করতে সমবেত হন। নানা ভাষা, উপভাষা ও সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আগত এই বিপুল সংখ্যক মানুষের সঙ্গে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করা দীর্ঘদিন ধরেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে এবারের হজে দেখা মিলছে ভিন্ন এক চিত্র। এবার উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা দ্বারা এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটি হজে যোগাযোগ ব্যবস্থার ধরণই পাল্টে দিচ্ছে। হজে এবার ব্যবহৃত হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি নির্ভর অনুবাদ ব্যবস্থা।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ দ্য ডন’-এর তথ্য অনুযায়ী, এদিকে আরাফার খুতবা ৩৫টি ভাষায় সরাসরি অনুবাদ করা হয়েছে। এর ফলে আরাফার ময়দানে উপস্থিত হাজিদের পাশাপাশি বিশ্বের নানা জায়গার কোটি কোটি মানুষ নিজ নিজ মাতৃভাষায় ঐক্য, দয়া ও বিশ্বাসের বার্তা শোনার সুযোগ পাচ্ছেন।

সাধারণভাবে এতগুলো ভাষায় দ্রুত অনুবাদ করা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হলেও এবার সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। এদিকে ‘স্মার্ট হজ’ ও ‘ইন দেয়ার ল্যাঙ্গুয়েজেস’ নামের প্রকল্পগুলো দ্বারা হাজিদের ভাষাগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নিজ নিজ ভাষায় সহজেই দিকনির্দেশনা ও তথ্য পেতে পারেন।

নুসুক অ্যাপে একটি পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছে, যা দ্রুত কথোপকথনের অনুবাদ করতে পারে। এর ফলে হাজিরা সহজেই সহায়তা চাইতে পারেন, নিয়মনীতি বুঝতে পারেন ও স্বেচ্ছাসেবক বা সহায়তাকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া মানারা রোবট ১১টি ভাষায় ধর্মীয় দিক নির্দেশনাসহ প্রাসঙ্গিক ও সংবেদনশীল উত্তর দিয়ে থাকে।

মাঠপর্যায়ে শুরু হয়েছে এআই ডিভাইসের ব্যবহার। এর দ্বারা মাঠে কর্মরত টিমগুলো ভাষা ও ছবি দুটিই বুঝিয়ে দিচ্ছে। এভাবে হাজিদের নিজ নিজ মাতৃভাষায় বার্তাগুলো স্পষ্ট, নির্ভুল ও কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

এদিকে মসজিদুল হারামে হাজিদের মাঝে কোরআনের অনুবাদিত সংস্করণ বিভিন্ন ভাষায় বিতরণ করা হচ্ছে। এতে তারা পবিত্র বাণীর তাৎপর্য নিজেদের ভাষায় গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারছেন। হজের ব্যস্ত মৌসুমে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদান ও ভিড় নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে অনুবাদ প্রযুক্তি।

সৌদি সরকার বলছে, বাস্তব সময়ে অনুবাদকে হজ অভিজ্ঞতার কেন্দ্রে রেখে তারা একটি বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যেখানে প্রযুক্তি ইমানকে পরিপূরক করে তোলে, প্রতিস্থাপন নয়। অতএব ভাষা বিভাজনের সীমা অতিক্রম করে তৈরি হচ্ছে হৃদয়ে হৃদয়ে যোগসূত্র।

বিভি/আইজে

মন্তব্য করুন: