মরক্কোতে অর্থনৈতিক সংকট: কোরবানি দেবেন শুধু সামর্থ্যবানরা, দেবেন না ছবি

ছবি: সংগৃহীত
এবছর মরক্কোতে ব্যতিক্রমভাবে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। দীর্ঘ সাত বছরের খরা ও চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় ৩৮ শতাংশ কমে গেছে। ফলে মরক্কোর রাজা মোহাম্মদ ষষ্ঠ দেশজুড়ে পশু কোরবানি না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশটিতে এক একটি ভেড়ার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০০ ডলারে, যা সাধারণ নাগরিকদের নাগালের বাইরে। দেশের ন্যূনতম মাসিক মজুরি মাত্র ৩১০০ দিরহাম (প্রায় ৩৩৫ ডলার)। এই বাস্তবতায় পশু কোরবানি করা থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকার অনুরোধ জানান রাজা।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া এক ঘোষণায় এই বছর ঈদে সাধারণ মানুষকে কোরবানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন তিনি। রাজা বলেন, রাষ্ট্রের হয়ে একটি কোরবানি দেওয়া হবে যা নিবেদিত থাকবে পুরো জাতিকে।
দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ৭০০ মিলিয়ন দিরহামের একটি সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর আওতায় ৫০ হাজার ক্ষুদ্র খামারির ঋণ মাফ ও প্রজননক্ষম গবাদিপশুর জন্য এককালীন ৪০০ দিরহাম অনুদান দেওয়া হবে।
এদিকে অর্থনৈতিকভাবে যারা সক্ষম, শুধুমাত্র তারাই বিকল্প পথে পশু কিনে কোরবানি করছেন। তবে রাজধানী রাবাতসহ দেশের বিভিন্ন শহরের অনেক পরিবার আর্থিক সংকটের কারণে ভেড়া কিনতে পারছে না। মিডল ইস্ট আই-কে ফাতিমা নামে এক নারী জানান, এটি সাধারণ কোনো অবস্থা নয়। অনেকেই ভেড়া কেনার সামর্থ্য হারিয়েছে। রাজা মানুষের কষ্ট বুঝে কাজ করছেন – এটিই প্রকৃত ইসলামী মূল্যবোধ।
সউস-মাসা অঞ্চলের আহমেদ মিডল ইস্ট আই-কে বলেন, তারা চুপচাপ ঈদ পালন করবেন, ছবি দেবেন না। অনেকেই এবারের ঈদকে সহানুভূতি ও সহমর্মিতার ঈদ হিসেবে দেখছেন।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: