পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ৩৪৪ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ জনে। মৃত্যু সবচেয়ে বেশি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। ৩২৮ জন মারা গেছে শুধু এই পাকতুনখোয়াতেই। বন্যাকবলিত ৯ জেলায় উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে, দুর্গত প্রদেশগুলোতে উদ্ধার অভিযানে থাকা একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন ক্রু নিহত হয়েছেন।
ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার শিকার পাকিস্তানের কাশ্মীর, উত্তরাঞ্চলীয় গিলগিট-বালতিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রাম। বেশি ক্ষয়ক্ষতি খাইবার পাখতুনখোয়ায়। হয়েছে ভূমিধসও। দু'দিনের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৩ শতাধিক মানুষের। সেই সাথে আটকা পড়ে আছে অসংখ্য মানুষ।
বন্যায় ভেসে গেছে ১ শতাধিক বাড়ি। এরমধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং ১৪টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গিলগিট বালতিস্তানে ১৪টি বাড়ি আংশিকভাবে এবং তিনটি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আজাদ কাশ্মীরে আংশিকভাবে ২৩টি এবং ২৮টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেশিরভাগ এলাকায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় হেঁটে যাচ্ছেন। বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বহু এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ভারী বৃষ্টি, ভূমিধস এবং বিভিন্ন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ত্রাণ পাঠানো এবং অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে কিছু এলাকায়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে বন্যা কবলিত প্রদেশে উদ্ধার অভিযানে থাকা একটি সামরিক হেলিকপ্টারও।
উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের পর্যালোচনা করতে ১৫ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। দেওয়া হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর নির্দেশ।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: