বিকালে শপথ নিতে পারেন নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান সুশীলা কার্কি

বিকালে শপথ নিতে পারেন নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান সুশীলা কার্কি। প্রধানমন্ত্রী পি কে শর্মা ওলি পালানোর পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাজধানী কাঠমান্ডুর জীবনযাত্রা। রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে সতর্কাবস্থানে আছেন সেনা সদস্যরা। আহত কয়েকজনের মৃত্যুতে বেড়েছে নিহতের সংখ্যা।
সরকার পতনের পর বুধবার থেকে সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলের সাথে আন্দোলনকারী একাধিক পক্ষের দফায় দফায় বৈঠক হয়। এর ধারবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত আসে। এই প্রস্তাব গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেলের সঙ্গে সাক্ষাতও করেছেন সুশীলা কার্কী।
২০১৬ সালে দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। সমালোচকদের অনেকের আশঙ্কা এই প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় রাজতন্ত্র ফেরানোর ষড়যন্ত্র চলছে। প্রতিবিপ্লব প্রতিহতের আহ্বান জানিয়েছে বৃহৎ নাগরিক আন্দোলন।
এদিকে, সরকার পতনের তৃতীয় দিন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে কাঠমাণ্ডু। খুলছে দোকানপাট, শুরু হয়েছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে তল্লাশি আর সতর্ক নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন সেনা সদস্যরা। কমেছে কারফিউর সময়সীমা আর বিধিনিষেধ। বিশৃঙ্খলার সুযোগে পালানো অন্তত দেড় হাজার কয়েদির মধ্যে দুইশ'র বেশিকে ধরে কারাগারে পাঠিয়েছে সেনাবাহিনী। আর সোমবারের আন্দোলনে আহতদের মধ্যে আরও কয়েকজনের মৃত্যুতে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৫১ জনে পৌঁছেছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: