বিশ্ব গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ
ছবি: বিশ্ব গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশের খবর
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের খবর ফলাও করে প্রচার করেছে বিশ্বের প্রধানতম গণমাধ্যমগুলি। সোমবার (১৭ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শিরোনাম করেছে- ‘বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড’।
আল-জাজিরা বলছে- গত বছর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে হাসিনা সরকারের সহিংস দমন-পীড়নে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।সংবাদমাধ্যমটি ৭৮ বছর বয়সী পলাতক শেখ হাসিনাকে গণ-বিক্ষোভ দমনের পেছনের ‘মাস্টারমাইন্ড এবং প্রধান স্থপতি’ হিসেবে অভিহিত করে।
‘বাংলাদেশের পতিত নেতা শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোর। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আগামী বছর নির্বাচনের কিছুদিন আগে এই রায় দেওয়া হলো। সোমবারের এই রায়ের ফলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংবাদমাধ্যমটি।
‘আন্দোলন দমনে নৃশংস অভিযানের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে- বিশেষ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে, গত বছর শিক্ষার্থী-নেতৃত্বাধীন আন্দোলন দমনে সহিংস অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী ছিলেন। সেই আন্দোলনে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়, যার অধিকাংশই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এপি’তে খবর প্রকাশিত হয়, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালে অপসারিত নেতা শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ’ শিরোনামে। এই রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এই রায়কে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বলেও জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তার মৃত্যু দণ্ডের আদেশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ডয়চে ভেলে। বাংলাদেশের তিন সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। শেখ হাসিনাকে আদালত পলাতক ঘোষণা করেছে বলেও জানায় ডয়চে ভেলে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্ট পোস্ট জানায়, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে এই রায় দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার সঙ্গে আরও দুই নেতার বিরুদ্ধেও রায় ঘোষণা করা হয়।
বিভি/এসজি/এমআর




মন্তব্য করুন: