ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি ম্যাক্রোঁ
ছবি: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। সংসদকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার এ সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি দেশটির সাধারণ মানুষ। ক্ষুব্ধ দেশটির আইনপ্রণেতারার। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
সোমবার (২০ মার্চ) ম্যাক্রোঁ ও তার সরকারের উপর এ অনাস্থা ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভোট হলেও তার সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টিই তার সরকারের জন্য বিব্রতকর।
গত বছর নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ম্যাক্রোঁর দল। তা সত্ত্বেও একাধিক-দলের প্রস্তাবিত এ অনাস্থা ভোট হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ এটি এগিয়ে যেতে ডানপন্থী, বামপন্থী ও মধ্যপন্থীসহ সব দলের এক জোট হতে হবে। কনজারভেটিভ লঁ রিপাবলিকান নামের একটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে এ ধরনের কোনো জোট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
অনাস্থা ভোট সম্পর্কে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে সংবাদমাধ্যম লঁ পার্সিয়ানকে বলেছেন, ‘সরকারের পতন ঘটানোর মতো কোনো জোট গঠিত হবে না। কিন্তু এটি একটি সত্যের মুহূর্ত হবে।’
এদিকে গত সপ্তাহে ফ্রান্সে পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ বছর করা হয়। এরপরই আন্দোলনে নামে মানুষ। গত তিন দিন ধরে এ নিয়ে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে। সূত্র: রয়টার্স
মন্তব্য করুন: