• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বিভাগে নয়, দুই ধাপে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে জেলায়

প্রকাশিত: ১৫:২২, ২ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
বিভাগে নয়, দুই ধাপে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে জেলায়

৪৫ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেয় ধোঁয়াশা কাটছেই না। তবে আশার আলো দেখিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, বিভাগীয় পর্যায়ে নয়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাটি জেলা পর্যায়েই নেয়া হবে। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন, একই সাথে নয় বরং  দুটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে প্রাখমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাটি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ তথ্যগুলো জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি জানান, প্রথম ধাপে আগামী ২২ এপ্রিল পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর মে মাসে দ্বিতীয় ধাপে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। 

তিনি আরও জানান, বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা সবাই চাইছেন না। কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নিতে হবে। জেলা প্রশাসকরা পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে জেলা পর্যায়ে সমস্যা হবে না।

এর আগে এপ্রিলের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা এবং উত্তীর্ণদের জুলাইয়ে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই মোতাবেক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। ৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা নিয়ে জটিলতা তৈরিহয়। কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করেন চাকরি প্রার্থীরা। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার সঙ্গে মামলা করা হবে এমন প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

নতুন করে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। গত ২০ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এ বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকও করে। 

গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়েছিলো, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ সময়ের মধ্যে আরও ১০ হাজারেরও বেশি পদ শূন্য হয়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে থাকলে আগামী ২২ এপ্রিল প্রথম ধাপের এবং মে মাসে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2