বাড়ছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ এর প্রবণতা, রয়েছে যেসব কারণ
বিশ্বব্যাপী মানুষ হয়ে পড়েছে ব্যস্ত। যান্ত্রিকতা আর কর্মই যেন সবকিছু। জীবন যাপনের ব্যয় বহন করতে পরিবারের সবাইকে আয় করতে হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেও নিজেদের পারিবারিক বন্ধন টিকিয়ে রাখতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে নানান সমস্যা। যে সমস্যার অন্যতম একটি হলো ‘স্লিপ ডিভোর্স’। প্রশ্ন হলো- স্লিপ ডিভোর্স কী?
সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে নারী-পুরুষের বন্ধন হলো বিবাহ। তবে অনেক সময় দেখা যায় দাম্পত্য অশান্তির কারণে বিচ্ছেদ হয় দম্পতিদের। যার নাম বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্স। কিন্তু এমনও অনেক দম্পতি রয়েছে যাদের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ নয়। এর ফলে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন জায়গায় ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর প্রবণতা বেড়ে গেছে।
বিবাহ বিচ্ছেদ হলে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক থাকবে না, দুজন আলাদাভাবে নিজের জীবন শুরু করবে। কিন্তু ‘স্লিপ ডিভোর্স’ হল স্বামী-স্ত্রীরা একই ছাদের তলায় বসবাস করবে কিন্তু একসঙ্গে ঘুমাবে না।
মূলত বর্তমান সময়ে এমন অনেক দম্পতি আছে যারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই কর্মজীবী। রয়েছে রোস্টার ও রুটিন মাফিক ডিউটির ঝক্কি-ঝামেলা। কখনো কখনো দুজনের ভিন্ন ভিন্ন টাইমে ডিউটি। ব্যস্ত জীবনে কাজের প্রয়োজনে শান্তির ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মন ও মস্তিষ্ককে শান্ত রাখার জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু বৈবাহিক জীবনে অশান্তি থাকার কারণে সঙ্গীর সঙ্গে ঘুমানোর ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।
এমন পরিস্থিতিতে, দম্পতিরা দুজন দুটো ভিন্ন ঘরে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, অর্থাৎ একসঙ্গে থাকার পরও এক সঙ্গে না থাকার সিদ্ধান্ত। মর্নিং ও ইভিনিং শিফটের ঝামেলা থাকলে দুজনের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুমানো লাগে এবং ভিন্ন সময়ে ওঠা লাগে। যা ঘুমানোর তারতম্য তৈরি করে।
আর এ কারণে স্বাধীনভাবে ঘুমানো সম্ভব হয় স্লিপ ডিভোর্সের ফলে। তবে স্লিপ ডিভোর্সকে জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া না করে শুধু বিকল্প প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করা উচিত, তাহলে সম্পর্কে ক্ষতি কম হয়। অন্তত সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করার জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একসঙ্গে ঘুমানোর পরিকল্পনা করা উচিত, এর ফলে শারীরিক দূরত্বের সঙ্গে মানসিক দূরত্বও কমতে শুরু করে। পারিবারিক বন্ধন ও সুস্বাস্থ্যের জন্য হলেও স্বামী-স্ত্রীর এক সঙ্গে ঘুমানো দরকার।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: