চরম গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি, বিপদ এড়াতে লক্ষণসমূহ জেনে নিন
দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে দাবদাহ। চরম গরমে জনজীবনে চলছে নাভিশ্বাস। বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। ইতিমধ্যে হিট স্ট্রোকে মারাও গেছেন অনেকে। তাই ঝুঁকি এড়াতে হিট স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ জেনে রাখা দরকার। সেই সঙ্গে জেনে রাখা দরকার, কীভাবে হিট স্ট্রোক থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এবং সুস্থ থাকা যায়।
চরম গরমের এই সময়ে সকাল এগারোটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসময় বাইরে বের হলে রোদ্রের তীব্রতায় শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে। সেখান থেকেই বাড়তে পারে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি।
হিট স্ট্রোক কিভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে?
কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ সময় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করলে তিনি হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। তাপপ্রবাহের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্ক, কিডনি, লিভার, হার্ট এবং পেশী। বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি কিডনিকে প্রভাবিত করে। পানির অভাবে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। যে কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
জেনে নিন হিট স্ট্রোকের লক্ষণসমূহ...
> কেউ দীর্ঘক্ষণ গরম বাতাস ও সূর্যের আলোতে থাকলে তার মুখ ও মাথা দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলো ও গরম বাতাসের সংস্পর্শে এসে সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।
> হিট স্ট্রোকের কারণে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে। শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা বেড়ে যায়।
> হিট স্ট্রোকে ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং তাপ শরীর থেকে বের হতে পারে না। শরীরে ক্র্যাম্প দেখা দিতে পারে ও দুর্বলতা বাড়তে থাকে।
> হিট স্ট্রোক এলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘুরতে শুরু করে। ব্যক্তি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং তার মানসিক অবস্থাও প্রভাবিত হয়।
> হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীর গরম এবং লাল হয়ে উঠবে কিন্তু ঘাম হবে না। সেইসঙ্গে হৃদস্পন্দন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত বাড়তে থাকবে।
চরম গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়...
হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে পান করতে হবে ফলের রস এবং স্যালাইন মিশ্রিত পানি। তবে খেয়াল রাখবেন দিনে দুটির বেশি স্যালাইন না খাওয়া হয়। শসা, তরমুজ, ডালিম ও ডাব খান নিয়মিত। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় গরমে থাকা এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন তুলনামূলক শীতল তাপমাত্রায় থাকার। পোশাক হিসেবে সুতির ঢিলেঢালা জামা ব্যবহার করুন। সাথে পানির বোতল ও ছাতা রাখুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়াটাই ভালো।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: