ছোটখাটো ভুলের জন্য দোষী হন, এখন থেকেই সাবধান

প্রতিকী ছবি
আপনার চিন্তাভাবনা, কাজকর্মকে সামনের মানুষটা গুরুত্ব দিচ্ছে না, আপনার উপর প্রতি মুহূর্ত জোর খাটাতে চাইছে। এমন সম্পর্ককেই নাম দেওয়া হয়েছে ‘গ্যাসলাইটিং’। এখানে একজনকে আরেকজন শুধু দোষারোপই করেন। ১৯৪৪ সালের সিনেমা ‘গ্যাসলাইট’ থেকে ‘গ্যাসলাইটিং’ শব্দটি এসেছে। ওই সিনেমাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে থাকা সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। তবে, ‘গ্যাসলাইটিং’ শুধু যে প্রেম-বিয়ের সম্পর্কতেই দেখা যায়, এমন নয়। যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘গ্যাসলাইটিং’ হতে পারে। শুধু সামনের মানুষটা আপনাকে ‘গ্যাসলাইটিং’ করছে কি না, সেটা জানতে হবে। এটা বোঝারও কিছু উপায় আছে। সেগুলো কী-কী, জেনে নিন।
কথার অর্থ বদলে দেওয়া: সব সত্যি কথা না বলা। যখনই আপনি কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করেন, সেই কথার সরাসরি উত্তর না দেওয়া। কিংবা সত্যি কথা না বলা। বার বার কথার অর্থ ঘুরিয়ে দেওয়া। এগুলো গ্যাসলাইটিংয়ের লক্ষণ।
সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য না দেওয়া: আপনার চিন্তাভাবনা, সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য না দেওয়া, আপনার কথাকে পাত্তা না দেওয়া গ্যাসলাইটিংয়ের লক্ষণ। অনেকেই প্রথম দিকে এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। কিন্তু ভবিষ্যতে এগুলোই সম্পর্কে সমস্যা তৈরি করে।
আবেগকে পাত্তা না দেওয়া: আপনি কী মনে করেন, আপনার মনের ভিতর কী চলছে, এই সব কিছু নিয়ে যদি পার্টনার মাথা না ঘামায়, তখনই বুঝবেন সে আপনাকে ‘গ্যাসলাইটিং’ করছেন। আপনার ইমোশন, ফিলিংসের কোনও গুরুত্ব যদি পার্টনারের কাছে না থাকে, সেই সম্পর্ক সুখের হতে পারে না।
দোষ চাপানো: সংসারে ছোটখাটো ভুল হলে তার দোষ সবসময় আপনার উপর চাপানো হয়। সম্পর্কে কিছু ভুল হয়ে গেলে, তার দোষও আপনার। বার বার আপনাকে দোষারোপ করা হলে বুঝবেন এই সম্পর্ক টক্সিক। এই ধরনের সম্পর্ক আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
গোস্টিং: মাঝেমধ্যে আপনাকে গোস্ট করে, অর্থাৎ ফোন ধরে না, কথা বলে না, টেক্সটের রিপ্লাই করে না—এগুলোর অর্থও আপনাকে গুরুত্ব দেয় না। যে মানুষটা আপনাকে সম্মান করে না, গুরুত্ব দেয় না, তার সঙ্গে জীবন কাটালে সুখী হতে পারবেন না। গ্যাসলাইটিংয়ের লক্ষণগুলো দেখতে পেলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: