পোশাকে বৈচিত্রতা নিয়ে এবারের ঈদে দেশীদশ

দেশের শীর্ষ দশ ফ্যাশন হাউসের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা দেশীদশ ঈদকে সামনে রেখে তাদের দীর্ঘ প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করেছে। ক্রেতাদের রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী দশটি প্রতিষ্ঠানই নতুন মোটিফ আর ডিজাইনে সব বয়সী মানুষের জন্য আরামদায়ক পোশাক এনেছে। ঐতিহ্য ও নিজস্ব স্বকীয়তায় তৈরি এসব পোশাক ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপনের জন্য। রাজধানীর একটি ক্লাবে ঈদ ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আয়োজিত এ শোতে ক্রেতাদের আরামকে প্রাধান্য দিয়ে দেশীয় সুতি কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন পোশাক প্রদর্শন করা হয়। থিম অনুসারে ফ্যাশন শোতে অংশ নেয় দেশীদশের অন্তর্ভুক্ত ফ্যাশন হাউস নিপুণ, সৃষ্টি, দেশাল, কে-ক্র্যাফট, নগরদোলা, রঙ বাংলাদেশ, বাংলার মেলা, সাদাকালো, বিবিয়ানা ও অঞ্জনস।
প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সৃজনশীলতায় মাধ্যমে ঈদ এবং বৈশাখকে মাথায় রেখে আলাদা স্টাইলে গরমের উপযোগী বেশ রুচিশীল ও উৎসবনির্ভর পোশাক বাজারে এনেছে। পোশাকগুলোতে ফুটে উঠেছে বর্তমান ট্রাডিশন। দেশের বৃহৎ পছন্দের ব্র্যান্ড গুলোতে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে মূল্য নির্ধারণ হয়েছে বলেও জানান প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তরা।
দেশীয় ব্যান্ডের এই প্রতিষ্ঠানের ফ্যাশন শোতে অংশনেওয়া মডেলরাও বলছেন, এবার প্রতিটি ব্যান্ড তাদরে নিজস্ব স্টাইল ধরে রেখে আরাম দায়ক এবং বেশ নান্দনিক ডিজাইনের পোশাক ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছে ।
পোশাকের ক্ষেত্রে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে এবারের ঈদ আয়োজন। এ ছাড়া তাপদাহ তীব্র হওয়ায় কাপড়েও ভিন্নতা এনেছেন প্রতিষ্ঠানগুলো। পাশাপাশি এবারের আয়োজনে দেশিয় কাপড়ে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ও ধারার ছোঁয়া রাখা হয়েছে। তবে এবার ঈদ আয়োজনে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্মবিত্ত সব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বিবেচনায় পন্য তৈরী করা হয়েছে।
ফ্যাশন শোর আয়োজনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-নিপুণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল রহমান ফারুক । কে-ক্রাফটের পরিচালক খালিদ মাহমুদ খান, অঞ্জনসের শাহীন আহমেদ, রঙ বাংলাদেশের সৌমিক দাশ, বাংলার মেলার মতিউজ্জামান, বিবিয়ানার লিপি খন্দকার, সৃষ্টির ইয়ামিন পারভেজ, দেশালের অলোক আদিত্য, সাদা কালোর আজহারুল হক আজাদ, নগর দোলার, রাকিব উদ্দিনসহ অনেকে। আজরা মাহমুদের কোরিওগ্রাফিতে এই বর্ণিল ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়।
বিভি/এএইচ/এইচএস
মন্তব্য করুন: