• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে স্মার্ট উপস্থাপন করতে গুছিয়ে কথা বলবেন কিভাবে?

প্রকাশিত: ২০:০২, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
নিজেকে স্মার্ট উপস্থাপন করতে গুছিয়ে কথা বলবেন কিভাবে?

প্রতীকী ছবি

মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ভাষা। শুধু মানুষ বললে ভুল হবে। প্রতিটা প্রাণীই ভাষার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়ে তোলে। স্মার্ট হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে গুছিয়ে কথা বলার কোনো বিকল্প নেই নিজেকে স্মার্ট হিসেবে তুলে ধরার একটি বড় মাধ্যম হলো আপনি কিভাবে কথা বলেন।

আমাদের অনেকে স্মার্ট সাজগোজ করেও কথা বলার ভঙ্গীর কারণে সব আয়োজন কখনো কখনো ভেস্তে যায়। তার গুছিয়ে কথা বলার ভূমিকা তাই অপরিসীম। এখন আসুন জেনে নিউ কিভাবে আমরা আরও সুন্দর করে কথা বলে নিজেকে গুছিয়ে তুলতে পারি।

সুন্দর করে কথা বলার কিছু উপায় ও কৌশল...

> শুদ্ধ উচ্চারণ চর্চা: যোগাযোগের মাধ্যম হলো ভাষা। আর ভাষার ক্ষেত্রে শুদ্ধ উচ্চারণের বিকল্প নেই বললেই চলে। আঞ্চলিক যোগাযোগের জন্য আঞ্চলিক ভাষা কার্যকরী হলেও জাতীয় পর্যায়ের জন্য অবশ্যই শুদ্ধ উচ্চারণ আবশ্যক। 

> কথার মাঝে বিরতি: একটানা কথা অবশ্যই শ্রোতাকে বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়। তাই কার্যকরী বক্তব্য ও নিজেকে স্মার্টভাবে উপস্থাপন করতে কথার মাঝে বিরতি দিয়ে কথা বলুন। এতে শ্রোতা আপনার কথা বোঝার জন্য কিছুটা সময় পাবে। যা আপনার প্রতি তার মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করবে।

> অঙ্গভঙ্গির ব্যবহার: এক নাগাড়ে রোবটের মত কথা বললে শ্রোতার মনোযোগ হারিয়ে যায়। তাই কথা বলার সময় একটু হাত নাড়ানো বা এক জায়গা পরিবর্তন কিংবা মুখের ভঙ্গী পরিবর্তন করলে দর্শক-শ্রোতার কাছে আকর্ষণীয় লাগে। তাই কথার সময় অঙ্গভঙ্গির ব্যবহার করতে পারেন। 

> মুখের অভিব্যক্তি প্রকাশ: কথা বলার সময় যেখানে যে বাক্য আছে, সে অনুযায়ী অভিব্যক্তি প্রকাশ ব্যক্তিত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারে।  হাস্যরস হলে হাসিমুখ, শোকগ্রস্থ হলে মলিন মুখ কিংবা বিস্ময়সূচক কথা হলে বিস্মিত হওয়ার অভিব্যক্তি আপনার উপস্থাপনকে আকর্ষণীয় করে তুলবে।

> মুদ্রাদোষ পরিহার: কথা বলতে গিয়ে নাক খোঁচানো, দাঁত খোঁচানো, চুল নাড়ানো কিংবা অযথা ইয়াম ইয়াম করলে শ্রোতা তীব্রভাবে বিরক্ত হন। এ কারণে এ ধরণের মুদ্রাদোষ থাকলে অবশ্যই তা পরিহার করতে হবে।

> আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা: বক্তব্য দিতে গিয়ে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখলে অবশ্যই বক্তার উপস্থাপন বেশ স্মার্ট হয়। তাই আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা অনেক।

> ভদ্রতা ও শালীনতা বজায় রাখা: কথা বলার সময় আচরণগত ব্যাপার অবশ্যই নজরে রাখা জরুরি। কেননা অভদ্র, ঔদ্ধত্য কিংবা অশালীন আচরণকারীকে কেউ পছন্দ করে না। তাই ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা পরিহার করুন।

এছাড়াও কথা বলতে গিয়ে খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন না বা কাউকে উদ্দেশ্য করে কটূকথা কিংবা মানহানিকর কথা বলবেন না। এতে করে আপনার ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: