রোহিঙ্গাদের 'বাঙালি সন্ত্রাসী' বলায় ঢাকার প্রতিবাদ
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী তুমব্রু ও ঢেকিবুনিয়া এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও হামলায় ব্যাপক হতাহতের পর বিজিবি’র বাধা উপেক্ষা করে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা বান্দরবান সীমান্তে কলাবাগান এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছে। তবে বিজিবি বলছে, রোহিঙ্গাদের নো-ম্যানস ল্যাণ্ডে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি ও কোষ্টগার্ড টহল জোরদার করেছে। এদিকে, রাখাইন রাজ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আসা দুই রোহিঙ্গার মধ্যে মুসা নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেলে।
শনিবার বিকেলে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী তুমব্রু ও ঢেকিবুনিয়া এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান চালায় ও হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষণ করে। এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিজিবি’র বাধা উপেক্ষা করে আতংকিত সহস্রাধিক রোহিঙ্গ্যা বান্দরবান সীমান্তের কলাবাগান এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণ করলে বাংলাদেশ ভুখন্ডের জামতলি এলাকার ধান খেতে দুইটি মটর সেল এসে পড়ে। এসময় এলাকায় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে।মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিংঙ্গারা জানান, সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ঢেকিবুনিয়া এলাকার বাজারপাড়া, কিয়াত পাড়া, ফকিরাপাড়া, গাইট্যাবুনিয়া পাড়ায় ব্যাপক হতাহত হয়েছে। তারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।
এদিকে, অব্যহত গোলাবর্ষণের কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সীমান্ত এলাকায় পাহাড়া দিচ্ছে বিজিবি সদস্য ও স্থানীয়রা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারে গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মূসা মারা গেছে শনিবার সকালে। তার সঙ্গী মুক্তারের অবস্থাও গুরুতর। তাদের বাড়ি মিয়ানমারের মংডুতে বলে জানায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে কর্তব্যরত পুলিশ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে লাইল্লাতলী পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নৌপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তারা।
এদিকে, শনিবার টেকনাফ সীমান্তে নাফনদী দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৭৩রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করেছে বিজিবি। গত দুই দিনে ২ শতাধিক রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় আলাদা বৈঠক করে কঠোরভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্তব্য করুন: