হঠাৎ করেই ক্রেতা শূণ্য হিলি স্থলবন্দরের চালের আড়ৎগুলো
হঠাৎ করেই ক্রেতা শূণ্য হিলি স্থলবন্দরের চালের আড়ৎগুলো। মজুদদারদের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানের কারণেই এমন পরিস্থিতি, বলছেন বন্দরের চাল আমদানীকারকরা। আর, ক্রেতা না থাকায় কমতে শুরু করেছে চালের দাম। এদিকে, নাটোরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দেয়া হচ্ছে হাইব্রিড মোটা চাল। ফলে তেমন ভিড় নেই ডিলারদের কাছে। মূলত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরাই এ চালের ক্রেতা।
ঈদ-উল আযহার পর থেকে সারা দেশের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আড়ৎগুলোতে বাড়তে থাকে চালের দাম। ৩৮ টাকা কেজির চাল বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ থেকে ৫১ টাকায় আর রাজধানীতে তা ৭০টাকা ছাড়িয়ে যায়। চালের বাজারের এই অস্থিরতা মোকাবেলায় ওএমএস কর্মসূচি চালুসহ মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে সরকার। এসময় হঠাৎই ক্রেতা শূণ্য হিলি স্থলবন্দরের চালের আড়ৎগুলো।
হিলি বন্দরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০/৮০ ট্রাক চাল বেচা-কেনা হয়। কিন্তু এখন ক্রেতা নাই বললেই চলে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় আমদানিকৃত চালের দাম কমেছে কেজিতে ৬ থেকে ৭টাকা।
এদিকে, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় তিনজন ডিলারের মাধ্যমে চলছে ওএমএস-এর চাল বিক্রি। দেয়া হচ্ছে হাইব্রিড জাতের অধিক মোটা চাল। বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরাই বেশি কিনছেন এই চাল। জেলায় শুরু হওয়া ওএমএস কার্যক্রম, সরকারীভাবে উপজেলাগুলোতে বুধবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুমতিপত্র দেরিতে পাওয়ায় চাল দেয়া হয় পরে।
ওএমএস-এর চালের দাম গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ করে ৩০ টাকা কেজি দরে ক্রেতাদের হাতে দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: