বন্ধ হয়ে গেছে ভৈরব ও আশুগঞ্জের অনেক চাতালকল
হাওরাঞ্চলে এবার উৎপাদন কম হওয়ায় ধান না পেয়ে বন্ধ হয়ে গেছে ভৈরব ও আশুগঞ্জের অনেক চাতালকল। জানা গেছে সাড়ে তিনশ চাতালকলের মধ্যে অন্তত এক তৃতীয়াংশ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে একদিকে বেকার হয়ে পড়ছে কয়েক হাজার শ্রমিক। অন্যদিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদেরও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও ভৈরবের যে চাতাল বা চালকলগুলো আছে তাদের বেশীরভাগই নির্ভরশীল হাওরাঞ্চলের ধানের ওপর। কিন্তু এবার আগাম বন্যার কারণে নষ্ট হয়েছে হাওরে ধানের উৎপাদন। বিপাকে পড়েছেন মিল মালিকরা। জমি ভাড়া নিয়ে অনেক মালিক চাতাল কল চালু করেছিলেন। কিন্তু ধান কম এসেছে এবার। বড় বড় মিলগুলোকে টপকে তাদের মিলে আসেনি ধান। শুধু আশুগঞ্জেই বন্ধ হয়ে গেছে একশোর মতো চাতালকল।
চাতাল বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। এখানকার শ্রমিকদের জীবন এমনিতেই অনেকটা দাসের মতো। আর কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা তারা। অনেক মালিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মিল বসিয়েছিলেন। মিল বন্ধ, ঋণ কিভাবে শোধ হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় তারা। অবশ্য চাতালের পরিবর্তে এখন অনেক রাইস মিল প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। যেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতাও বেশি।
মন্তব্য করুন: