• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রবিবার

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ১৮ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রবিবার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সংসদীয় আসনের সীমানায় আপত্তি থাকলে পুনর্নির্ধারণের জন্য আবেদনের সময় শেষ হবে রবিবার (১৯ মার্চ)। এরপর আর এ বিষয়ে কোনো আবেদন গ্রহণ করবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আগামী নির্বাচনের খসড়া সীমানার গেজেট প্রকাশ করে। তখন জানানো হয়, ১৯ মার্চ পর্যন্ত সংক্ষুব্ধরা এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন।

ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমানাসংক্রান্ত প্রাপ্ত আবেদনের শুনানি শেষে জুনের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমবেশি ৫০টি আবেদন ইসিতে জমা পড়েছে। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আগেই ১৫টি আবেদন জমা পড়েছিল। কেউ আবেদন করেছেন বর্তমান সীমানা বহাল রাখার জন্য। আবার কেউ কেউ আবেদন করেছেন সীমানা পুনর্নির্ধারণ করার জন্য। 

কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, গাজীপুর, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রভৃতি জেলার বিভিন্ন আসনের সীমানা সংক্রান্ত  আবেদন এখন পর্যন্ত ইসিতে জমা পড়েছে। আবেদন করাদের মধ্যে সংসদ সদস্যরাও রয়েছেন। 

বর্তমান সীমানা বহাল রাখার জন্য ইসিতে আবেদন করেছেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত ও সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডল। একটি ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মো. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ। 

সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের আবেদন পাওয়ার পর দাবি, আপত্তি, সুপারিশ ও মতামত নিয়ে শুনানি করা হবে। শুনানিতে বক্তব্য যৌক্তিক হলে মেনে নেওয়া হবে এবং জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। যে কেউ এক্ষেত্রে সীমানা পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন। 

সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে খসড়ায় ভৌগোলিক ও প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় রাখা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে হিসেবে শুধু প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে হলেই ৪৫টির মতো আসনে কমবেশি হাত দিতে হবে। এজন্য নানান দিক বিবেচনা করে বিতর্ক ও তদবিরের ভয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এ কারণে বিদ্যমান সীমানাকে বহাল রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের সীমানার খসড়া আকারে প্রকাশ করে।

খসড়ায় যতটুকু পরিবর্তন
ময়মনসিংহ-৪ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নিয়ে ময়মনসিংহ-৪ আসনটি গঠিত হয়। খসড়ায় ময়মনসিংহ-৪ আসনে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকা এবং ময়মনসিংহ সদর উপজেলা রাখা হয়েছে।

মাদারীপুর-৩ : গতবার কালকিনি উপজেলা, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর, ঝাউদি, ঘটমাঝি, মস্তফাপুর ও কেন্দুয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। খসড়ায় এর সঙ্গে নতুন করে নবগঠিত ডাসার উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ-১ : ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটিতে খসড়ায় মধ্যনগর উপজেলা যু্ক্ত করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ-৩ : বর্তমানে আসনটি জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। খসড়ায় জগন্নাথপুর ও শান্তিনগর উপজেলা উল্লেখ করা হয়েছে।

সিলেট-১ : সিলেট সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকা ও সিলেট সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত। খসড়ায় আসনটিতে রাখা হয়েছে সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ২৭ ও ৩১ থেকে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং সিলেট সদর উপজেলা। 

সিলেট-৩ : বর্তমানে আসনটি দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। খসড়ায় এর সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৮, ২৯, ৩০, ৪০, ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড যুক্ত করা হয়েছে।

কক্সবাজার-৩ : বর্তমানে আসনটি কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলা নিয়ে গঠিত রয়েছে। খসড়ায় এর সঙ্গে ঈদগাঁও উপজেলা যুক্ত করা হয়েছে।

পাঁচটি পদ্ধতি অনুসরণ করবে কমিশন
প্রতি জেলার ২০১৮ সালের মোট আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা; প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা ও সিটি ওয়ার্ড যথাসম্ভব অখণ্ড রাখা; ইউনিয়ন, পৌরসভার ওয়ার্ড একাধিক সংসদীয় আসনে বিভাজন না করা; নতুন প্রশাসনিক এলাকায় যুক্ত, সম্প্রসারণ বা বিলুপ্ত হলে তা অন্তর্ভুক্ত করা; ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগব্যবস্থা বিবেচনায় রাখা।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: