আধুনিকতায় বদলে যাচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দরের চেহারা

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে ২শ’ ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে বৃহত্তম ভেহিকেল ট্রাক টার্মিনাল। বন্দরের আধুনিকায়নে ২৪ একর জমির উপর টার্মিনালের নির্মাণ কাজ হাতে নেই বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ হলে এখানে একসঙ্গে এক হাজার ২শ’ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়াতে পারবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প কাজের তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বেনাপোল স্থলবন্দরে অনুন্নত অবকাঠামোর কারণে রাজস্ব আয় এবং আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে নানা প্রতিবন্ধকতা চলে আসছিল দীর্ঘ দিন।
যে কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়ায় দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ ছিল বন্দর ব্যবহারকারী সহ ব্যবসায়ীদের। সে কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই টার্মিনাল নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল ব্যবসায়ীরা। এই টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ হলে এখানে একসঙ্গে এক হাজার ২শ’ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়াতে পারবে।
যার ফলে বন্দরে পণ্য ও যানজট আর থাকবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যে ফিরে আসবে আরও গতিশীলতা। বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। অন্যদিকে এই টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বদলে যাবে বেনাপোল স্থল বন্দরের চেহারা।
ব্যবসায়ীদের দাবি ও রাজস্ব আয় বাড়াতে সরকার ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ৩শ’ ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় বেনাপোল স্থলবন্দর উন্নয়নের কাজে। এর মধ্যে ২শ’ ৮৯ কোটি টাকা ব্যয় করে ২৪ একর জমির উপর একটি কার্গো ভেহিকেল ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ হাতে নেই বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে (এস এস আর) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি একটি কার্গো ভেহিকেল ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু করে। যেটির কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলেন, এসব কাজ শেষ হলে বন্দর আধুনিকতায় পূর্ণতা পাবে। অন্যদিকে এস এস আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে অতি যত্ন সহকারে কাজ করছেন তারা। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বেনাপোল স্থলবন্দর বর্তমানে ১২৭ একর জমির ওপরে নির্মিত। এখানে ৫০টি শেড ও ইয়ার্ড রয়েছে। এসব শেড ইয়ার্ডে পণ্য রাখার ধারণক্ষমতা মাত্র ৫০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু ভারত থেকে প্রতিদিন যে পণ্য আমদানি হয় তার পরিমাণ দৈনিক প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন।
আমদানি করা এসব পণ্য সময়মতো বন্দর থেকে খালাস নেয় না আমদানিকারকরা। ফলে বন্দরে যান ও পণ্যজট লেগে থাকে সব সময়। তবে কার্গো ভেহিকেল ট্রাক টার্মিনাল চালু হলে এসব আর থাকবে না বলে জানান বন্দর ব্যবহারকারী।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম জানান, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ, অপারেশন বিল্ডিং নির্মাণ, নুতন শেড নির্মাণসহ নানাবিধ কাজ হাতে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব কাজ শেষ হলে বন্দর আধুনিকতায় পূর্ণতা পাবে। চলতি কার্গো ভেহিকেল ট্রাক টার্মিনালের নির্মাণকাজ আগামী ২৪ সালের জুন নাগাদ শেষ হবে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: