জিআই তালিকাভুক্ত হলো শেরপুরের ‘ছানার পায়েস’
ফাইল ছবি
শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী ছানার পায়েস পেল জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি। ঐতিহ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সরকারের ভৌগোলিক নির্দেশক ইউনিটে আবেদন করে। এরই প্রেক্ষিতে শেরপুরের নামে ২৯ ও ৩০ শ্রেণিতে জিআই-৫৬ নম্বরে ‘ছানার পায়েস’ চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি নিবন্ধিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস (ডিপিডিটি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুনিম হাসানের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেরপুরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ ছানার পায়েস জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় শহরজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। জেলা ব্র্যান্ডিং ওয়েবসাইট ‘আওয়ার শেরপুর’ সুখবর পৌঁছে দিতে মানুষের মাঝে ছানার পায়েস বিতরণ করে। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেনের ভাষ্য, সরকারের এ সিদ্ধান্ত শেরপুরকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আরও জানা যায়, জমিদারি আমলে শেরপুরের নয়আনী, তিনআনী, পৌনে তিনআনী, সাতআনী ও আড়াই আনী জমিদার বাড়িতে ছানার পায়েস তৈরি হতো। বিভিন্ন উৎসবে ও মেহমানদের এ পায়েস দিয়ে আপ্যায়ন করার রীতি প্রচলিত ছিল। শেরপুর শহরের রঘুনাথ বাজারের বিখ্যাত অনুরাধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারীর পূর্বপুরুষ চন্দ্র কিশোর দে, তাঁর ছেলে গিরিশ চন্দ্র দে, তাঁর ছেলে সুরেশ চন্দ্র অসাধারণ এ ছানার পায়েস তৈরি করতেন। বংশপরম্পরায় তারা জমিদার বাড়িতে গিয়ে গাভীর দুধ দিয়ে অসাধারণ সুস্বাদু এ মিষ্টি তৈরি করে দিয়ে আসতেন।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ভীষণ খুশির খবরটি আজই আমরা পেয়েছি। ছানার পায়েস জিআই পণ্য হয়েছে– এমন সনদ হাতে পেয়েছি। শেরপুরের ছানার পায়েস এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও আমরা লাভবান হব।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: