নগর ভবনে বিক্ষোভ, কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সামনে সোমবারও অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
সোমবার (২৬ মে) বেলা ১১টা থেকে নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তাঁর সমর্থক ও করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের বড় একটি অংশের কর্মচারীরা।
১৪ মে থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়। টানা ১৩ দিন ধরে আন্দোলন চলে। মাঝে দাবি পূরণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এরপর আবার আন্দোলন শুরু হয়েছে। নগর ভবনে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের নাগরিক সেবা। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, নগর ভবনের ফটকগুলোয় এখনো তালা ঝুলছে। ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ ও ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে ইশরাকের সমর্থকেরা নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপর নগর ভবন প্রাঙ্গণে মিছিল করছেন। মিছিল শেষ হলে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আবার স্লোগান দিচ্ছেন।
এ সময় ‘দাবি মোদের একটাই, মেয়র ছাড়া অফিস নাই’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘রাজপথের ইশরাক ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘দুই দফায় কোর্ট রায় দেওয়া সত্ত্বেও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তিনি শপথ নিতে পারছেন না। জনগণের ভোগান্তির জন্য মূলত উপদেষ্টা দায়ী।’
নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছে। ফটকে তালা থাকায় নগর ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারছেন না সেবাপ্রত্যাশীরা। বন্ধ রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধসহ সব নাগরিক সেবা। ফলে সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ।
এক বছর আগে সিটি করপোরেশনের মুদ্রণের কাজ করেছেন ক্রিয়েটিভ কালার প্রিন্টার্সের মালিক শফিকুল ইসলাম। কিন্তু এখনো বিল পাননি। এক বছর ধরে সিটি করপোরেশনে আসা–যাওয়া করছেন তিনি। দুই মাস পরে আজ দুপুরে নগর ভবনে এসে দেখেন সব ফটকে তালা লাগানো। ফিরে যাওয়ার সময় কথা হয় প্রথম আলোর সঙ্গে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিলের জন্য এক বছর ধরে ঘুরছি। গত দুই মাস আসিনি। আজ এসে দেখি সব বন্ধ। কবে টাকা পাব বুঝতে পারছি না। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।’
কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে করপোরেশনের কর্মকর্তারাও অঘোষিত ছুটিতে আছেন। ফটকগুলো তালাবদ্ধ থাকার কারণে কর্মকর্তারা অফিসে আসছেন না। দাপ্তরিক কাজ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: